মুসলিম ছাত্রীকে অপহরণের পর কয়েক মাস ধরে ধর্ষণ সঞ্জয়ের
- খুলনা ব্যুরো
- ০২ জুন ২০২১, ১৬:০০
খুলনার মুসলিম স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর কয়েক মাস ধরে ধর্ষণ করেছে হিন্দু যুবক। পরে ৯৯৯ নম্বরে কিশোরীর ফোন পেয়ে তাকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী পরিবার ও দাকোপ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দাকোপের কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের রামনগর বিনাপাণি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ওই মুসলিম ছাত্রীকে একই এলাকার মৃত উপেন মন্ডলের বখাটে ছেলে সঞ্জয় মন্ডল ওরফে আকাশ (২০) গত বছরের ১৭ নভেম্বর অপহরণ করে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে খুলনায় এরপর ঢাকার কদমতলী থানাধীন পোস্তগোলা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে আটকে রাখে। এ সময় ভিকটিমকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে থাকতে বাধ্য করে। গত ৯ মে উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত সঞ্জয় তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় এবং ধর্ষণ করে।
শেষে ৯৯৯ নম্বরে কিশোরীর ফোন পেয়ে ঢাকার কদমতলী থানা পুলিশের সহায়তায় দাকোপ থানার এসআই মল্লিক আব্দুল হালিম ঢাকার পোস্তগোলার ভাড়া বাসা থেকে কিশোরী উদ্ধার এবং সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন।
গত ১৭ নভেম্বর ওই ছাত্রী হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে তার বাবা মেয়ে হারিয়ে গেছে মর্মে দাকোপ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ ও পরিবার কিশোরীর সন্ধান করতে থাকে। গত ৯ মে ভিকটিম সেখানকার প্রতিবেশী এক নারীর মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ৯৯৯ নাম্বারে পুলিশের কাছে ফোনে তার জিম্মিদশার কথা জানিয়ে উদ্ধারের আকুতি জানায়। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং আকাশকে গ্রেফতার করে।
পরে ভিকটিমের বাবা ওই সঞ্জয়ের নাম উল্লেখসহ আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে দাকোপ থানায় মামলা দায়ের করেন। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে গত ১২ মে আসামি সঞ্জয় ঘটনা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। একই দিন ভিকটিম ২২ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হালিম জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা দায়ীদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা