২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মাচায় টমেটো চাষ করে মুখে হাসি চাষীদের

মাচায় টমেটো চাষ করে মুখে হাসি চাষীদের - নয়া দিগন্ত

প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়াই করে ডুমুরিয়ায় মাচায় টমেটো চাষ করছেন কৃষকরা। চাহিদা এবং বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় দিন দিন এখানকার চাষিরা টমেটো চাষে ঝুঁকছে। এ বছর ৮০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, টমেটো একটি উচ্চ মূল্যের ফসল। এক বিঘা জমিতে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ৪ থেকে ৫ মাসে দেড় লাখ টাকার বেশি লাভ করা যায়। টমেটোর চারার বয়স ২৫ দিন হলে মূল জমিতে লাগানো হয় এবং ২০ থেকে ২৫ দিন পর তাতে ফুল আসা শুরু করে। রোপনের ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর থেকে ফল পাওয়া যায়। একটি গাছে প্রায় ৩০ টাকা খরচ করে প্রায় ৫ থেকে ৬ কেজি টমেটো পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

এখানে মঙ্গল রাজা, লাভলী, মিন্টু সুপার, বারি হাইব্রিড-৪, বারি হাইব্রিড-৮ ইত্যাদি জাতের টমেটোর আবাদ হয়েছে। সার, বীজ, প্রশিক্ষণ এবং মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।

মাচায় টমেটো চাষী রবিউল ইসলাম বলেন, শ্রাবণ মাসে তিনি জমিতে টমেটোর চারা রোপন করেন। তার ১০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করতে বীজ, সার, সেচ, বাঁশ, শ্রমিক বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৩ মাসে লাভলী জাতের টমেটোর গাছ থেকে পাকা টমেটো উঠতে শুরু করেছে। ক্ষেতে মাচা তৈরি করেছেন তিনি। ৩ বছর ধরে মাছের ঘেরের পাড়ে টমেটো চাষ করছেন। এবার খরচ একটু বেশি হলেও এক লাখ টাকার বেশি বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, উপজেলায় বেশি টমেটোর আবাদ হয়েছে ধামালিয়া, খর্নিয়া এবং গুটুদিয়া ইউনিয়ন। মাচায় টমেটো চাষে গাছ খাড়া থাকে ও জৈব সার ব্যাবহার করায় টমেটোর ফলন ভাল হয়। দেশের বড় মার্কেট ও মলগুলোতে মাচায় চাষ করা পাকা টমেটোর চাহিদা বেশি। কৃষকরা দামও ভাল পায়। এতে কৃষকেরা লাভবান বেশি হয়।

তিতি আরো বলেন, যারা মাচায় টমেটো চাষ করেছে তাদের প্রশিক্ষণ এবং ক্ষেত পরির্দশন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিক্রিতে সহজ এবং বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় দিন দিন টমেটোর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।


আরো সংবাদ



premium cement
বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের দাবি বাংলাদেশ অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস ঢাবি সিন্ডিকেটে এখনো বহাল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা হাসিনা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করতে দিগন্ত টেলিভিশনসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করেছে : ফখরুল শীত শুরু হচ্ছে তবু কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যয়বহুল তদন্তেও শনাক্ত হয়নি লাশটি কার ‘রহস্যজনক’ কারণে নেয়া হয়নি ডিএনএ নমুনা নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যুদ্ধবিরতির মার্কিন চেষ্টার মধ্যে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় চিকিৎসাকর্মী নিহত অস্বস্তিতে ক্রেতারা : কমিয়ে দিতে হচ্ছে কেনাকাটা গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৪ হাজার ছাড়াল আমরা মানুষের সম্মিলিত প্রজ্ঞাকে সম্মান করি

সকল