০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ২ শাবান ১৪৪৬
`

মাচায় টমেটো চাষ করে মুখে হাসি চাষীদের

মাচায় টমেটো চাষ করে মুখে হাসি চাষীদের - নয়া দিগন্ত

প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়াই করে ডুমুরিয়ায় মাচায় টমেটো চাষ করছেন কৃষকরা। চাহিদা এবং বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় দিন দিন এখানকার চাষিরা টমেটো চাষে ঝুঁকছে। এ বছর ৮০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, টমেটো একটি উচ্চ মূল্যের ফসল। এক বিঘা জমিতে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ৪ থেকে ৫ মাসে দেড় লাখ টাকার বেশি লাভ করা যায়। টমেটোর চারার বয়স ২৫ দিন হলে মূল জমিতে লাগানো হয় এবং ২০ থেকে ২৫ দিন পর তাতে ফুল আসা শুরু করে। রোপনের ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর থেকে ফল পাওয়া যায়। একটি গাছে প্রায় ৩০ টাকা খরচ করে প্রায় ৫ থেকে ৬ কেজি টমেটো পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

এখানে মঙ্গল রাজা, লাভলী, মিন্টু সুপার, বারি হাইব্রিড-৪, বারি হাইব্রিড-৮ ইত্যাদি জাতের টমেটোর আবাদ হয়েছে। সার, বীজ, প্রশিক্ষণ এবং মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।

মাচায় টমেটো চাষী রবিউল ইসলাম বলেন, শ্রাবণ মাসে তিনি জমিতে টমেটোর চারা রোপন করেন। তার ১০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করতে বীজ, সার, সেচ, বাঁশ, শ্রমিক বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। চারা রোপনের ৩ মাসে লাভলী জাতের টমেটোর গাছ থেকে পাকা টমেটো উঠতে শুরু করেছে। ক্ষেতে মাচা তৈরি করেছেন তিনি। ৩ বছর ধরে মাছের ঘেরের পাড়ে টমেটো চাষ করছেন। এবার খরচ একটু বেশি হলেও এক লাখ টাকার বেশি বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, উপজেলায় বেশি টমেটোর আবাদ হয়েছে ধামালিয়া, খর্নিয়া এবং গুটুদিয়া ইউনিয়ন। মাচায় টমেটো চাষে গাছ খাড়া থাকে ও জৈব সার ব্যাবহার করায় টমেটোর ফলন ভাল হয়। দেশের বড় মার্কেট ও মলগুলোতে মাচায় চাষ করা পাকা টমেটোর চাহিদা বেশি। কৃষকরা দামও ভাল পায়। এতে কৃষকেরা লাভবান বেশি হয়।

তিতি আরো বলেন, যারা মাচায় টমেটো চাষ করেছে তাদের প্রশিক্ষণ এবং ক্ষেত পরির্দশন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিক্রিতে সহজ এবং বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় দিন দিন টমেটোর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।


আরো সংবাদ



premium cement
বগুড়ায় লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ ৭ ডাকাত গ্রেফতার যে কারণে দিনে ৫ শতাংশ মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন : মুজিবুর রহমান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধে চান্দিনায় চালকদের মানববন্ধন গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে একমত ট্রাম্প ও সিসি বান্দরবানে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ আখাউড়ায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু ১২ কেজির এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল ১৯ টাকা ভারত কেন পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারে উঠেপড়ে লেগেছে, প্রশ্ন ড. মাসুদের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরব যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল শারা এখনো আগের মতোই চাঁদাবাজি চলছে, বাজারে সিন্ডিকেটও আছে : সারজিস

সকল