২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মহম্মদপুরে প্রতারণার শিকার ধর্ষিতার পরিবার, প্রতারক গ্রেফতার

-

মাগুরার মহম্মদপুরে ধর্ষণ মামলার আসামিকে ছাড়াতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ধর্ষিতার পরিবার। গত মঙ্গলবার পুলিশ ওই প্রতারককে আটক করেছে। এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জানা যায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে ধর্ষণের ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী। বিচারের আশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটনের কাছে যায় ভুক্তভোগী পরিবার। বিষয়টি নিয়ে তার কাছে কোনো সুরাহা না পেয়ে মামলার প্রস্তুতি নেয় পরিবারটি। বিষয়টি জানতে পেরে ওই নেতা মারধর করে তাদেরকে গ্রাম্য সালিশের দ্বারস্থ হতে বলেন তাদের।

লিটন ও তার সহযোগীরা গত ১০ জুলাই সালিশে ভুক্তভোগী পরিবারকেই উল্টা দোষী সাব্যস্ত করেন। এবং তারা ভুক্তভোগীর পরিবারকেই এক লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ছয় মাসের জন্য সমাজচ্যুত করার সিদ্ধান্ত দেয়। এছাড়া পরিবারটিকে পুলিশের কাছে না যাওয়ার হুমকি দেন লিটন।

পুলিশ ও ভুক্তভুগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিচার না পাওয়া এবং উল্টা জরিমানার শিকার হওয়ায় ভুক্তভোগী ওই পরিবার মাগুরা সদর থানার ভাংগুরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহাবুল ইসলামের (১৯) বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। পরে পুলিশ শাহাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করলে সালিশকারীরা ওই পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত ২০ জুলাই সকালে নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ওবায়দুর রহমানে নেতৃত্বে কয়েকজন ভুক্তভোগীর বাড়িতে যায়। তারা বাড়ি থেকে একটি গরু, চারটি ছাগল, একটি ভ্যান, শ্যালো মেশিনসহ বেশ কিছু জিনিস ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ছিনিয়ে নেয়া বেশির ভাগ মালামাল উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটন, ওবায়দুর রহমানসহ ১৬ জনকে আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন ধর্ষিতার পরিবার। এসময় পুলিশ ধর্ষণ মামলায় এক জন এবং চাঁদাবাজি মামলায় তিন জনকে আটক করে।

এদিকে মামলার দীর্ঘদিন পরে পুত্র সন্তান জন্ম দেন ওই ধর্ষিতা। ইতিমধ্যে ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার পরিবারের সমঝোতা হয়েছে বলে জানায় ধর্ষিতার পরিবার।

ওই পরিবার সূত্রে আরো জানা যায়, ধর্ষক কারাগারে থাকা অবস্থায় উভয় পরিবার মিলে কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়। এরপর থেকে ধর্ষণ মামলার আসামিকে ছাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে ধর্ষিতার পরিবার। এসময় ডিবি পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তি তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং জামিন করানোর নামে টাকা নেয়ার চেষ্টা করেন। এর আগে ওই প্রতারক ধর্ষিতার বাড়ির লুটপাট ঠেকানোসহ তাদের বাড়ির নিরাপত্তার জন্য ২২ হাজার টাকা নেয় বলে জানান ধর্ষিতার পরিবার। পরে তাকে প্রতারক হিসেবে জানতে পেরে গত মঙ্গলবার পুলিশে ধরিয়ে দেন।

ডিবি পরিচয়ে ওই প্রতারকের নাম জিয়াউর রহমান (৪০)। তিনি মাগুরার শালিখা উপজেলার বুনাগাতি গ্রামের মৃত তেজারোত মোল্যার ছেলে।

জিয়াউর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তিনি মাদকদ্রব্য ক্রেতা-বিক্রেতাদের পরিচয় পুলিশের কাছে দিয়ে থাকেন। বর্তমানে তিনি গরুর খামার করেছেন।

মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস জানান, জিয়াউর রহমানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ববিতে ‘সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক’ এর যাত্রা শুরু মতামত গ্রহণে ওয়েবসাইট চালু করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন কপ-২৯ সম্মেলনে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও এলডিসি’র ‘ওয়াকআউট’ আলোচনায় 'না' ভোট এবং 'ভোট রিকল' হাসানের জোড়া উইকেটের পরও ৩০০ পার করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের বিতর্কিত করে অভ্যুত্থান ব্যর্থ প্রমাণের অপচেষ্টা চলছে : উপদেষ্টা নাহিদ ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম তালুকদার গ্রেফতার ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের দাবির যৌক্তিকতা রয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের ইস্যু তুলেও ঝাড়খণ্ডে জিততে পারেনি বিজেপি

সকল