চৌগাছায় পাশাপোল মডেল কলেজের এমপিও বন্ধ
- এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর)
- ২১ আগস্ট ২০২০, ১১:৫১
যশোরের চৌগাছায় পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজে ব্যাকডেটে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে এমপিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাকডেটে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তাকে এমপিওভুক্ত করার চেষ্টার অভিযোগে এ কলেজটির অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বন্ধ করা হয়েছে। আর অভিযোগ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ রাখা হবে।
সদ্য এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানটিতে একজন শিক্ষককে ব্যাকডেটে নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অপর একজন শিক্ষক। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা জরুরিভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বেসরকারি কলেজ শাখা সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যার স্মাক নম্বর ৩৭.০২.০০০০.১০৫.৩১.০৩৫.২০.২৫৬ তারিখ ১৩/০৮/২০২০ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পত্র নং ৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০০২.০১৭.২০১৮.১১১ তারিখ ২৮/০৭/২০২০ ইং।
তবে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের দাবি, একজন ক্ষমতাধর আত্মীয়র মাধ্যমে প্রদর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে এমপিওভুক্ত হওয়া একজন অভিযোগ করেছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হলে অভিযোগকারীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ না থাকায় তাকে প্রভাষক পদে নিয়োগ না দিয়ে প্রদর্শক পদে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওর আবেদন করা হয়েছিল।
জানা যায়, উপজেলার পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজটি সম্প্রতি এমপিওভুক্ত হয়। তবে, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক তরুণ কান্তি ঘোষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ ওই শিক্ষক দাবি করেন, ২০০৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে রসায়ন বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত থাকলেও তার জায়গায় বখতিয়ার উদ্দিন নামে অপর একজন শিক্ষককে ব্যাকডেটে নিয়োগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম। ব্যাকডেটেড নিয়োগ দেয়া শিক্ষকের এমপিওভুক্তির আবেদনও পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগটি আমলে নিয়ে একজন উপসচিবকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি তদন্তের সময় পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি, রেজুলেশন, ডিজির প্রতিনিধি আদেশ, টেবুলেশন শিটসহ নিয়োগকালীন সকল কাগজপত্র তদন্তে যাচাই করবেন। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও অভিযোগ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় বেসরকারী কলেজ শাখার সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
তবে, অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০০৭ সাল থেকে তরুণ কান্তি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নেন। পরে চলে যান। আবার ২০১৫ সালে ফিরে আসেন। আবারো চলে যান। পরে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলে তিনি আবার ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু তার নিবন্ধন সনদ না থাকায় তাকে প্রভাষক নয়, প্রদর্শক পদে এমপিওভুক্তির আবেদন করা হয়েছিল। তিনি এমপিওভুক্ত হয়ে বেতন-ভাতাও তুলেছিলেন।
তিনি বলেন, তরুণ কান্তির একজন ভাই সচিব পর্যায়ে কর্মরত। তিনি তদবির করে সবার এমপিও বন্ধ করিয়েছেন। নীতিমালার সকল শর্ত পূরণ করে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অতি সম্প্রতি এমপিওভুক্ত হতে পেরেছি। এখন একজনের জন্য সকলের এমপিও বন্ধ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা