চিনাবাদাম চাষে সাফল্য পেয়েছেন পদ্মাচরের চাষীরা
- আ. ফ. মনুরুল কাদের, কুষ্টিয়া
- ২১ জুন ২০২০, ১১:১৬, আপডেট: ২১ জুন ২০২০, ১১:০২
অনাবাদি পদ্মাচরে চিনাবাদাম চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চাষীরা। তবে প্রকৃতির বিরূপতার কারণে এ বছর ফলন নিয়ে হতাশায় রয়েছেন তারা।
পদ্মার বিস্তির্ণ চরে চাষ করা সোনালী ফসল বাদাম ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন চাষীরা। অর্থকরী এ ফসল চাষ করে সংসারের স্বচ্ছলতাও ফিরেছে চরবাসীর।
পদ্মার চরে সরেজমিনে দেখা গেছে, কুষ্টিয়ায় এ বছর প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুরের বিস্তির্ণ চরে চাষ হয়েছে ৮২০ হেক্টর জমিতে। এক সময় পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা বালুচর পড়ে থাকতো। যা চাষীদের কোন কাজেই আসতো না। এখন জেগে ওঠা পদ্মার চরে চাষীরা চিনাবাদাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় এ অর্থকরী ফসলের চাষ পুরো চরে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বছরও চরে বাদাম চাষ করে চাষীরা সাফল্য পেলেও ফলন নিয়ে রয়েছে হতাশা। প্রাকৃতিক দূর্যোগ আম্পানের প্রভাবে ফলনে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। তারপরও খরচ বাদ দিয়ে লাভের মুখ দেখবেন বলে জানালেন দৌলতপুর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের আব্দুল জব্বার ও কাবিল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন চরাঞ্চলের চাষী। ফিলিপনগর এলাকার ইসমাইল হোসেন নামে এক বাদামচাষী জানান, এ বছর ১০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন তিনি। বিঘাপ্রতি তার খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা করে। বিঘাপ্রতি ফলন হচ্ছে ৪ থেকে ৫ মণ হারে। বর্তমান বাজার দর ২২শ’ টাকা মণ হিসেবে বিক্রি করলে লাভ হবে, তবে বিগত বছরের তুলনায় লাভের অংশ কম হবে।
এদিকে বাদাম ক্ষেতে কাজ করে দিনমজুররাও খুশি। তারাও কৃষকের বাদাম ক্ষেতে গাছ থেকে বাদাম ঝরিয়ে প্রতিদিন আয় করেছেন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা যা সংসারে কাজে আসছে। এমনটাই জানালেন রহিমা খাতুন নামে এক বয়োবৃদ্ধ বাদামশ্রমিক।
তবে সরকারি প্রনোদনার পাশাপাশি রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রদর্শনীপ্লট ও ফলোআপ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে চরাঞ্চলের বাদাম চাষীদের সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম কামরুজ্জামান। চরাঞ্চলের যেসব জমি অনাবাদি পড়ে থাকে সেসব জমি অর্থকরী সোনালী ফসল বাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে চরবাসীর সারাবছরের আর্থিক চাহিদা পুরণ হবে, পাশাপাশি দেশের বাদামের চাহিদা মিটবে, সেই সাথে কমবে ক্ষতিকর তামাক চাষ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা