দামুড়হুদার কুতুবপুর সীমান্ত এলাকা ব্রাক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
- ২৫ মে ২০২০, ১৯:৪৬, আপডেট: ২৫ মে ২০২০, ১৯:৩১
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা কুতুবপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ব্রাক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের গলায় দাগ ও কানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়াগেছে ।
সোমবার সকালে কতুবপুর সীমান্তের অভ্যন্তরে কুতুবপুর এলাকার বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন একটি মেহগুনি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্ধায় দামুড়হুদা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে নিহতের পিতা।
নিহত সাইফুল ইসলাম(৪০) দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের নতুনপাড়ার আবদার আলির ছেলে ও চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ব্রাকে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় ও তার পরিবার জানায়, ঈদের আগের দিন সকালে সাইফুল ইসলাম পীরপুর কুল্লাহ বাজারে গোশত কেনার জন্য যায়। সেখানে একই গ্রামের খোদন ঢেকির ছেলে রতন ঢেকির সাথে সাইফুলের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারা মারি হয়। পরে রতন ও তার দলবল সাইফুলকে খুঁজতে থাকে এবং তাকে মেরে আজ ভাত খাবে এমন কথা বলে । সাইফুল ভয়ে মাঠের দিকে লুকিয়ে পড়ে। রতনরা তাকে মাঠের দিকে ও খুঁজতে বের হয়। তার পর থেকে সাইফুলকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সাইফুলের পরিবার তাকে রাত দুইটা পযন্ত খোঁজা খুজি করেও কোথাও খুঁজে পাইনি। পরদিন তার পরিবারের লোকজন সংবাদ পায় কতুবপুর সীমান্ত এলাকায় একটি মেহগনি বাগানে তার লাশ পড়ে আছে। এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দিলে মেহগনি বাগান থেকে সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। সাইফুলের পিতা আব্দার জানান,আমার ছেলেকে রতনরা মেরে ফেলেছে।
দামুড়হুদা থানার ওসি আব্দুল খালেক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের গলায় দাগ ও কানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল বলেন, সাইফুল হত্যা রহস্য উৎঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। স্থানীয় রতন নামের এক ব্যক্তির সাথে গতকাল(রোববার) ঝামেলা হয়েছিল। আর অন্য কোন বিষয় আছে কি না সে গুলো দেখা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। হত্যার সাথে জড়িতদের অল্প সময়ে আটক করা সম্ভব হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা