২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

এসআই ও সোর্স মিলে ধর্ষণ করল আসামির স্ত্রীকে!

যশোরে এসআই বিরুদ্ধে আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ - নয়া দিগন্ত

যশোরে পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে আসামির স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। যশোরের শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুলসহ সোর্সের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন একই উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে আসাদুজ্জামান আশার স্ত্রী।

পুলিশ সুপার এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই মহিলাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত এসআই খায়রুল জানান, এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানান, শার্শার লক্ষণপুর গ্রামে তার স্বামী আসাদুজ্জামান আশাকে গত ২৫ আগস্ট রাতে শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন ২৬ আগস্ট আশার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তাকে আদালতে চালান দেয়। 

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ২ টার দিকে এসআই খায়রুল সোর্সদের নিয়ে আশার বাড়িতে যায় এবং তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। আশাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এসআই খায়রুল তার স্ত্রীর নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে খায়রুল ও সোর্স কামারুল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

পরে ঘরের ভেতরে গিয়ে আশার স্ত্রীকে প্রথমে এসআই খায়রুল ও পরে পুলিশের সোর্স কামারুল ধর্ষণ করে। এসময় সোর্স লতিফ ও কাদের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেও মামলা ঝুলিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আশার স্ত্রী যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অফিসে যান এবং সাংবাদিকদের কাছে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ধরেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে যান এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদের অনুমতি নিয়ে ওই মহিলাকে নিয়ে পুলিশ সুপার মঈনুল হকের অফিসে নিয়ে যান।

এসময় ওসি মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তিনি শুনে এসেছেন। তাকে নিয়ে এসপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন কিছু বলা সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই খায়রুল বলেন, এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পিক্ততা নেই। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে এসপি স্যার তদন্ত শুরু করেছেন।

যশোর পুলিশ সুপার মঈনুল হক সাংবাদিকদের জানান, ওই নারীর অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে। তাকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ সঠিক হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement