অভয়নগরে হাসপাতালে এক দিনের ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
- অভয়নগর (যশোর) সংবাদদাতা
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:০৯

যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া ফাতেমা (প্রাঃ) হাসপাতালে একসাথে দুই প্রসূতি নারীকে অপারেশন করায় এক দিনের ব্যবধানে দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে অপারেশন করা শারমিন বেগম (২৬) নামের এক নারীর ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। মৃত শারমিন বেগম মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের বাবু মোল্যার স্ত্রী।
জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে উপজেলার নওয়াপাড়া ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালে শারমিন বেগম (২৬) ও আসমা খাতুন (৩২) নামের দুই প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পরে ওই দুই রোগীর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর রাত ৮টার সময় আসমা বেগম নামের নারীর মৃত্যু হয়। মৃত আসমা খাতুন মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। নারীর মৃত্যুতে বিক্ষুদ্ধ স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালটি ভাঙচুর ও ঘেরাও করে।
এদিকে শারমিন খাতুনের অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি রোববার দুপুরে মৃত্যু বরণ করেন।
মৃত শারমিন খাতুনের স্বামী বাবু মোল্যা বলেন, আমার স্ত্রীকে ফাতেমা হাসপাতালের ডাক্তার ভুল অপারেশন করে হত্যা করেছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারলাম না। আমার সন্তান এতিম হয়ে গেল। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অপর মৃত আসমা বেগমের ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, আমার বোনকে ডাক্তার সেলাই ঠিক মতো না করায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে মারা গেছেন। পাঁচ ব্যাগ রক্ত দিয়েও আমরা বোনকে বাঁচাতে পারলাম না। ভুল অপারেশন করার কারণে আমার বোন মারা গেছে।
ফাতেমা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: মঞ্জুরুল মোরশেদ বলেন, ভুল চিকিৎসায় নয়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে দ্রুত খুলনায় পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে মৃত্যু হবে ভাবতেও পারছি না।
নওয়াপাড়া ফাতেমা হাসপাতালের মালিক রফিকুল ইসলাম বাঘা জানান, প্রথম দিন একজন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আজ দুপুরে আরো একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। দুই পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আলিমুর রাজিব বলেন, দুই পরিবারের কারোর কাছ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডা: মাসুদ রানা বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি নিজে অভয়নগরে ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা