অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করে কুয়েটের মামলা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৪৯

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুয়েটের নিরাপত্তা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান লিটন খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রকাশনা দফতরের জনসংযোগ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা।
বুধবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার ও নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হয়। এছাড়াও হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদের দু’টি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
ওই ঘটনার পর বেলা দেড়টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ঘটনার বিচারের জন্য চারটি দাবি জানানো হয়। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতা এবং যেকোনো অন্যায়ের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দেন।
পরবর্তীতে উপাচার্য সময়ক্ষেপন না করে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। এছাড়া ছাত্রদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য তিনি ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, সব পরিচালক, প্রভোস্টদের নিয়ে বেলা সাড়ে ৩টায় একটি সভা আহ্বান করেন।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত হওয়ার আগেই বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে ভিসি, প্রো-ভিসিসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে যান এবং শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আটকানোর চেষ্টা করেন।
সংঘর্ষ চলাকালীন কয়েকজন শিক্ষক, ভিসি, অনেক শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীও আহত হয়ে কুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি হন। এ সময় ভিসির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা