২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

লেপের নিচে স্ত্রীর, পাশেই ঝুলছিল স্বামীর লাশ

লেপের নিচে স্ত্রীর, পাশেই ঝুলছিল স্বামীর লাশ - ছবি : সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নিজ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘরের বিছানায় লেপের নিচে মাথা ঢাকা অবস্থায় ছিল স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের লাশ (৬৫)। আর পাশেই ঘরের ‘ডাবের’ সাথে ঝুলছিল স্বামী ফরিদ উদ্দীনের লাশ (৭৫)।

পুলিশ জানিয়েছে, শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বুধবার দুপুরের দিকে বাহিরচর ইউনিয়নের ফারাকপুর গোরস্থান পাড়া সংলগ্ন বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, বৃদ্ধ ফরিদ উদ্দীনের মূল বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে। সেখানে প্রথম স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তিনি ভেড়ামারায় দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন। তারা দু‘জনেই দিনমজুরের কাজ করে জীবিকানির্বাহ করতেন। বাড়ির পাশেই বসবাস করেন স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের প্রথম পক্ষের ছেলেরা। বুধবার সকালে নিহতের নাতি দাদা-দাদির বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকে। এ সময় কেউ কোনো সাড়া-শব্দ না করলে বাড়ির অন্য সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় ঘরের ফাঁক দিয়ে ঝুলন্ত একটি লাশ দেখা যায়। পরে ভেড়ামারা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের পুত্রবধূ জানিয়েছে, তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি আলাদাভাবেই বসবাস করতেন। উল্লেখ করার মতো কোনো পারিবারিক কলহ তাদের ছিল না। তবে কী কারণে বা কারা হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারেন বা কেন তারা আত্মহত্যা করতে যাবেন, তার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, টিনের ঘরটি ভেতর থেকেই লক করা ছিল। বিছনায় লেপ দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় নিহত রাবেয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল মৃত ফরিদ উদ্দীনের লাশ। হত্যার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যেতে পারে, স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে। দুটো লাশই ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল