অন্তর্বর্তী সরকারে ঘাদানিকের প্রেতাত্মা থাকায় বৈষম্যের শিকার এ টি এম আজাহার
- যশোর অফিস
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৭

যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ঘাদানিকের (ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি) প্রেতাত্মা থাকার কারণে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন ফ্যাসিবাদের সময় বিচারের নামে প্রহসনের শিকার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মজলুম এ টি এম আজাহারুল ইসলাম।’
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সমাবেশ করে এসব কথা বলে জেলা জামায়াত।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার সমাবেশের তারিখ থাকলেও যশোরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমাবেশ থাকায় জেলা জামায়াত বুধবার সমাবেশ করে।
জামায়াতের নেতারা বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে মুক্তি দেয়া হলেও তাকে কেন মুক্তি দেয়া হলো না। তার মুক্তির জন্য জামায়াতকে কেন রাজপথে নামতে হলো। সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি এ টি এম আজাহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয় টাউনহল ময়দানে যশোর জেলা জামায়াত আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন।’
তারা বলেন, ‘জামায়াতের হারানোর ভয় নেই। জামায়াত এদেশে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের হারিয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে। লাখ লাখ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে। বছরের পর বছর বাড়িঘর ছাড়া ছিল। ফলে, এখন আর কোনোকিছুতেই ভয় পায় না জামায়াত। অবিলম্বে এটিএম আজাহারুল ইসলামকে মুক্তি দেয়া না হলে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।’
নেতারা আরো বলেন, ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও এখনো বৈষম্য দূর হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। তাদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। জীবন থাকতে জামায়াত সেটি আর হতে দেবে না।’
নেতারা ওইসব উপদেষ্টাকে পতিত হাসিনা সরকারের কাছে শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ দেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল।
জেলা নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন জেলা সেক্রেটারি আবু জাফর সিদ্দিকী, সহকারী সেক্রেটারি বেলাল হুসাইন, গোলাম কুদ্দুস ও রেজাউল করীম, জেলা নেতা অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, অধ্যাপক আবুল হাশিম রেজা, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম, শহর আমির অধ্যাপক শামছুজ্জামান, জেলা নেতা মাওলানা আব্দুল আজিজ, সদর উপজেলা আমির অধ্যাপক আশরাফ আলী, ইসলামী ছাত্রশিবির শহর শাখার সভাপতি এইচ এম শামীম, জেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জেলা পূর্ব শাখার সভাপতি আশিকুজ্জামান।
সমাবেশ শেষে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের দড়াটানা হয়ে মণিহার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।