খুলনার শিববাড়ি মোড়ে জামায়াতের মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ
- খুলনা ব্যুরো
- ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:২৮

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে খুলনা মহানগরীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়স্থ কেডিএর প্রধান ফটকের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শহীদ হাদিস পার্কে জামায়াত আয়োজিত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নগরীর ফেরিঘাট, পাওয়ার হাউজ মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়। মিছিলের শেষ মুহুর্তে শিববাড়ি মোড়স্থ কেডিএর প্রধান ফটকের পাশে রেলওয়ে স্টেশনের ভেতর থেকে মিছিলের শেষ ভাগে একটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয় এবং বিকট শব্দে ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়।
এ ঘটনায় মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট হেলাল বলেন, ‘শিববাড়ি মোড়ে রেলওয়ে এলাকার উঁচু জায়গা থেকে ছোঁড়া ককটেলে ইসমাইল হোসেন নামের একজন আহত হন।’
এ সময় ককটেল হামলার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি
মঙ্গলবার কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রেসিডেন্টকে ফ্যাসিবাদের প্রতীক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদের জুলুম থেকে রক্ষার জন্য অন্তত: একটি সুবিচার করুন, এ টি এম আজহারের দন্ডকে বাতিল ঘোষণা করুন ‘
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আয়নাঘরসহ সকল নিষ্ঠুরতার মাস্টার মাইন্ড শেখ হাসিনার ১৭ বছরের কালোযুগে দেয়া সব মিথ্যা মামলা ও কথিত রায়ে অনেকেই মুক্তি পেলেও জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কেন এখনো কারাবন্দি?’
আজহারুল ইসলামের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘অন্যথায় আবারো জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে লড়াই এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত রয়েছি। ২০১০ সালের ৩০ জুনের পর এটি খুলনায় প্রথম প্রকাশ্যে কোনো সমাবেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরের দিন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হলেও জামায়াত নেতা আজহারকে কেন এখনো কারাগারে থাকতে হবে? জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আমরাওতো শরীক। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা মওকুফের সুযোগ রয়েছে। অবিলম্বে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাকে মুক্তি দিন।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনো বৈষম্যের শিকার।’
খুলনা মহানগরী ও জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহনগরী জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান ও মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তৃতা দেন খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, মহানগরী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা শেখ মো: আবু ইউসুফ, অধ্যক্ষ গাউসুল আজম হাদী, আজিজুল ইসলাম ফারাজী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা আরাফাত হোসেন মিলন, আবু ইউসুফ ফকির ও আবু জার আল গিফারী।