খুলনায় আ’লীগের ৬ নেতাকে রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণ

খুলনার পাইকগাছায় উপজেলা নির্বাচনে ধানের শিষ প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার সময় হামলা ও নাশকতার মামলায় আটক আওয়ামী লীগের ছয় আসামিকে দু’দিন রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক অমিত দেবনাথ জানান, ২০২০ সালে ৯ অক্টোবর উপজেলা নির্বাচনে জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা ধানের শিষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্য উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে ১০টি মোটর সাইকেল, মাইক্রোবাসযোগে পৌর সদরের সামনে টাউন স্কুলের সামনে এলে আগে থেকে সংবাদ পেয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগসহ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর ককটেল বিস্ফোরণ করে গাড়ি ভাঙচুর ও নাশকতা সৃষ্টি করে। ওই সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ১০টি মটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস ভাঙচুরসহ নেতা-কর্মীদের মারপিট করে আহত করা হয়।

ওই ঘটনায় রুবেল সরদার সাবেক দু’এমপিসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে ২০২৪ সালে ২৯ আগস্ট পাইকগাছা থানায় একটি মামলা করেন।

ওই মামলায় এজাহারনামীয় উপজেলার বাতিখালীর হারুনর রশীদের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক ময়নুল ইসলাম (৪৪), ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের মোসমেল মোড়লের ছেলে আজিজুল হাকিম (৪০), বান্দিকাটি গ্রামের সোবহান মোড়লের ছেলে সাবেক কাউন্সিলর গফ্ফার মোড়ল (৩৮), আলমতলা গ্রামের সামাদ মোড়লের ছেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মানিক (৩৫), লক্ষ্মী খোলা গ্রামের মরহুম আরশাদ আলী তরফদারের ছেলে যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান তরফদার (৪০), একই এলাকার মরহুম ইমান আলী মোল্যার ছেলে লুৎফর রহমান বাচ্চুকে আটকের পর ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি দু’দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সবজেল হোসেন জানান, ‘আটক ছয় আসামিকে আদালতে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের দু’দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

রিমান্ড শেষে শনিবার সকালে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ওই মামলায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার লস্কর গ্রামের আমিন উদ্দিন সানার ছেলে জাকির সানাকে (৩৪) গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।