দু’দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল দিয়ে ফল আমদানি শুরু
- বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৯
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দিন ফল আমদানি বন্ধ থাকার পর পুনরায় আমদানি শুরু হয়েছে। দেড় ঘণ্টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ৪০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে। অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে বেনাপোলসহ সারা দেশের শুল্ক স্টেশন দিয়ে দুই দিন ফল আমদানি বন্ধ ছিল। এর ফলে সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় কম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার পর থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে ফল আমদানি শুরু হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৪০ ট্রাক ফল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয় তার বেশির ভাগই ফল।
দেশে ফলের চাহিদা মেটাতে এবং সাধারণ ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে আমদানিকারকরা আজ থেকে আবারও ফল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমদানি খরচ বেশি হওয়ায় দাম বাড়িয়েছেন খোলা বাজারের বিক্রেতারা। গত দুই দিন ফল আমদানি বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যে বাজারে কেজিতে ফলের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আগে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করত। এতে করে কেজিপ্রতি ফলে সরকারকে ১০১ টাকা রাজস্ব দিতে হতো। গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন এক নির্দেশনায় ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে। সেক্ষেত্রে কেজিপ্রতি শুল্ককর ১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৬ টাকা।
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুই দিন ফল আমদানি বন্ধ থাকায় দেশের বাজারগুলোতে ফলের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্য বৃদ্ধি রোধে এবং সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে ব্যবসায়ীরা আবার ফল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্ধিত শুল্ক আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রাখবে বলে আমদানিকারকরা জানিয়েছেন।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ আবার ফল আমদানি শুরু হয়েছে। দেড় ঘণ্টায় ৪০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত ফলের চালান দ্রুত ছাড় করণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা