বঙ্গোপসাগরে অপহরণের ৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি ১৫ জেলের

বঙ্গোপসাগরে অপহৃত দুবলারচরের ১৫ জেলের তিন দিনেও সন্ধান মেলেনি। নতুন করে সাগরে জলদস্যুদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুবলার চরের ১১ সহস্রাধিক জেলেদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে দুবলা ফিসারমেন গ্রুপ দুবলারচরে ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে অপহৃত জেলেদের দ্রুততম সময়ে উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

দুবলার আলোরকোল থেকে রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজী জানান, রোববার দিবাগত মধ্যরাতে দুবলার আলোরকোলের জেলেরা সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়ার কাছে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরছিল এ সময় ১০ থেকে ১২ জনের মজনু-আলীম বাহিনীর সশস্ত্র জলদস্যু একটি ফিশিংবোটে করে এসে মাছ ধরা অবস্থায় জেলেদের ওপর হামলা করে। দস্যুরা ১৫ জন জেলেকে তাদের ট্রলারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় অপহৃত জেলেরা হলেন শাহ আলম, আজাহারুল ইসলাম, মো: জাহাঙ্গীর আলম, আরাফাত হোসেন, আলমগীর হোসেন, শাহাজান গাজী, মো: রাসেল, মো: শাহজাহান ঢালী, হাফিজুর রহমান, মো: শাহীনুর আলম, মতিয়ার সরদার, খান রফিক, রিপন মোড়ল, নুরে আলম ও নাথন বিশ্বাস।

অপহৃত জেলেদের বাড়ি খুলনা সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায়। এই জেলেরা দুবলার আলোরকোল চরে অবস্থান নিয়ে সাগরে মাছ ধরে শুঁটকিকরণের কাজ করত। তিন দিন পার হলেও অপহৃত জেলেদের কোনো খোঁজ মেলেনি বা দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি।

দুবলা ফিসারমেন গ্রুপের সভাপতি মো: কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘ বছর পরে নতুন করে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে জলদস্যুদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুবলরচরের ১১ হাজার শুঁটকিকরণ জেলে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। জেলেরা এখন সাগরে জাল ফেলতে যেতে সাহস পাচ্ছে না। জেলেদের জন্য সাগর ও সুন্দরবন দস্যুমুক্ত রাখার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান।’

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সোমবার সকালে বন্দুক কার্তুজসহ আটক তিন জলদস্যুকে কোস্টগার্ড মঙ্গলবার দুপুরে শরণখোলা থানায় সোপর্দসহ আলোরকোল কোস্টগার্ড সিসি মো: জাহিদুল ইসলাম শরণখোলা থানায় একটি মামলা করেছেন।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করীম বলেন, দুবলারচরের অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।