স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐক্য বিনষ্ট হতে দেয়া যাবে না : ইশরাক
- গাংনী (মেহেরপুর) সংবাদদাতা
- ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:১৪
বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, এদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জামায়াতসহ ছোট বড় অনেক দল রয়েছে। তাদের ভিন্ন ভিন্ন মত ও আলোচনা থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের অধিকারের প্রশ্নে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেই ঐক্যকে কোনোভাবে বিনষ্ট হতে দেয়া যাবে না।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মঠমুড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ফার্স্ট চয়েজ মডার্ন স্কুল, হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা আয়োজিত নবীনবরণ ও নবনির্মিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খুনি হাসিনা সরকার অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার ফলে তিনি শারীরিকভাবে সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন। তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আবারো বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনবেন।’
তিনি বলেন, ‘ঐক্যের প্রতীক খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ঐক্যের প্রতীক হয়ে সব দলমত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এক করার ক্ষেত্রে যে পথ রচনা করেছিলেন, সেই ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লব হয়েছে। জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি, তরুণ প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি হিসেবে বলব, তারেক রহমান দেশ গড়ার যে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, বিএনপির সেই কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘খুনি হাসিনার পরিবারের সদস্যদের এখন বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে। এদেশে দুর্নীতি করে সম্পত্তি লুটপাট করে নিয়ে গেছে। লুটপাটের সেই সম্পত্তি থাকলে আজ বাংলাদেশে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব হতো। এদেশের গ্রামীণ জনপদ আজ পিছিয়ে পড়া জনপদ থাকতো না। বাংলাদেশের দারিদ্র্য, অর্থকষ্ট ও অভাব দূর করা যেতো।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থ সম্পদ ফিরিয়ে এনে এদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে চাই। এটাই আমাদের ওয়াদা, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত তিনটি নির্বাচনে খুনি হাসিনা সরকার, রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের একটি করে ভোট, খুনি হাসিনা জনগণের সেই ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। শুধু ভোটাধিকার কেড়ে নেননি, জুলাই আগস্টে তারা একটি গণহত্যা চালিয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে এই খুনি হাসিনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি হোক আমরা সেটা চাই। খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে মাটিতে ফিরিয়ে এনে তাকে বিচার করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে। সেটি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। যারা রাজনীতি করি তারা রাজপথে থাকব।’
মোহাম্মদপুর ফার্স্ট চয়েজ মডার্ন স্কুল, হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার চেয়ারম্যান রাশেদ গনির সভাপতিত্বে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গাংনী-২ আসনের সাবেক এমপি মো: আমজাদ হোসেন, আল্লামা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামীম সাঈদী, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অর্পনা রায় দাস প্রান্তি, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগাঠনিক সম্পাদক ইছাহাক সরকার, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু।
পরে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট বক্তা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবির বিন সামাদ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা