২ শ্রেণিকক্ষ ও ৩ শিক্ষক নিয়েই চলছে ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগ
- ইবি প্রতিনিধি
- ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৬
২০১৮ সালে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তির মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগ। বিভাগ প্রতিষ্ঠার সাত বছরে নিয়োগ করা হয়েছে মাত্র তিনজন শিক্ষক। এদিকে সাতটি ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে মাত্র ২টি শ্রেণিকক্ষে। শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকটের ফলে সেশনজটে জর্জরিত হয়ে পড়েছে বিভাগটি। ফলে এসব সংকট নিরসনে আন্দোলনে নেমেছে বিভাগটির ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসনসহ ১০দফা দাবিতে শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। পরে কোষাধ্যক্ষ ও বিভাগের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভাগে গিয়ে দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমাজকল্যাণ বিভাগের সাতটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভাগে মাত্র দু’টি শ্রেণিকক্ষ ও তিনজন শিক্ষক রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ না থাকার অযুহাতে শিক্ষকরা পর্যাপ্ত ক্লাস না নিয়েই কোর্স শেষ করেন। এছাড়া রেজাল্ট দিতে দেরি করা এবং এসব বিষয় নিয়ে কথা বললে শিক্ষার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেয়ারও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক না থাকায় আমরা সেশনজটে ভুগছি। এসব সমস্যা সমাধানের অনেক আশ্বাস দিয়েও প্রশাসন কথা রাখেনি। তাই বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছি। অতিদ্রুত সকল সমস্যার সমাধান চাই।
শিক্ষার্থীদের ১০ দফার অন্যতম দাবিগুলো হলো, বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টিচার দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করা, নির্দিষ্ট রুটিন প্রণয়ন ও প্রতিটি কোর্সের পর্যাপ্ত ক্লাস বাস্তবায়ন, সেশন জট নিরসনে তিন মাসের মধ্যে সেমিস্টার সম্পন্ন করা, সাত কার্য দিবসের মধ্যে চার বছরের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা, সেমিনার লাইব্রেরী বরাদ্দ করা।
এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের দেয়া সমস্যা নিরসনের রোডম্যাপ সম্বলিত একটি পত্রে স্বাক্ষর করেন বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসমা সাদিয়া রুনা। তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীরা দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পাবে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সবগুলো দাবিই যৌক্তিক। এগুলো তাদের অধিকার। এখন থেকেই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে বিভাগের শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা দাবিগুলোর দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে পারবেন।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা