শৈলকুপায় ফুলকপি বিক্রিতে লোকসান, হতাশা চাষিরা
- মফিজুল ইসলাম, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ)
- ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৫
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ফুলকপি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ফুলকপি চাষে খরচের টাকা না উঠায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা।
সরেজমিনে লাঙ্গলবাঁধ বাজার ও শৈলকুপা বাজারে দেখা গেছে প্রতি পিস ফুলকপি পাইকারি দু’টাকা থেকে শুরু করে ছয় টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩৮৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে।
ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ডাউটিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, তিনি এবার ৪০ শতাংশ জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছেন। ভরা মৌসুমে কপির দামে চাষিদের খরচের টাকা উঠবে না। এক বিঘা জমিতে চার হাজার পিস ফুলকপির চারা রোপণ করা যায়। এক পিস চারার দাম আড়াই টাকা। এর সাথে সার, সেচ ও শ্রম হিসাব করলে বিক্রি পর্যন্ত প্রতি পিস কপিতে খরচ হয় ১০ টাকার মতো। কিন্তু তা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে দু’টাকা থেকে ছয় টাকায়।
ফুলহরী গ্রামের বদর উদ্দিন জানান, অনেক চাষি ফুলকপি মাঠেই কেটে ফেলছেন। দেড় কেজি ওজনের একটি ফুলকপি উৎপাদনে সর্বনিম্ন খরচ হয় ১০ টাকা। আর তা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় টাকায়। প্রত্যেক কপিতে লোকসান হচ্ছে গড়ে চার টাকা।
ফুলকপি বিক্রি করে পরিবহন খরচই উঠছে না বলেও জানান তিনি।
লাঙ্গলবাঁধ বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা শরিফ হোসেন বলেন, ‘পাইকারি দরে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে দু’টাকা থেকে ছয় টাকায়। তারা দেড় কেজি ওজনের একটি ফুলকপি খুচরা বিক্রি করছেন ১০ টাকায়। আমরা যে রকম কিনতে পারবো সেই রকম বিক্রি করব।’
ভরা মৌসুমে ফুলকপির এমন দামে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে ফুলকপি যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে চাষির অনেক লোকসান হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘চাষির প্রত্যেকটা পণ্য লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে হলে কৃষি বিপণন অধিদফতরের উচিত প্রত্যেকটা কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচের সাথে তাল মিলিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা। তাহলে চাষিরা উপকৃত হবেন।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা