পৌষের শেষভাগে চুয়াডাঙ্গায় শীতের দাপট
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৭
পৌষের শেষভাগে শীতের দাপটে অস্থির চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। নেই সূর্যের দেখা। চারপাশ ঢাকা পড়ছে ঘন কুয়াশায়। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির পানির মতো ঝরছে শিশির। শীতের তীব্রতায় মানুষের কাজের গতিও কমে গেছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সূর্যের দেখা না পাওয়া এবং কনকনে ঠান্ডা বাতাসে শীতের অনুভূতি বেড়েছে কয়েকগুণে।
এমন পরিস্থিতিতে সব থেকে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তাদের অনেকের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। কর্মজীবী মানুষের কাজের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তাতেও ব্যাঘাত ঘটছে। প্রচণ্ড শীতে খুব প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
ভ্যানচালক জাহিরুল বলেন, ‘এই শীতের এক দিন ইচ্ছা করেই কাজে বের হয়নি। অন্যদিন বের হলেও ভাড়া হচ্ছে না। রাস্তাঘাটে যাত্রী নেই একদম। সকাল আর সন্ধ্যায় তো লোকজন একদমই কম। সূর্য উঠলে কিছু মানুষ বাইরে বের হয়, আর সূর্য না উঠলে তাও কেউ বের হয় না। অলস সময় কাটছে।’
নির্মাণশ্রমিক সাহবুদ্দিন বলেন, ‘আজ দু’দিন ধরে কাজ পাচ্ছি না। প্রতিদিনই কাজের সন্ধানে বাইরে আসছি কিন্তু কাজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। যেভাবে বাতাস বইছে তাতে কাজ করাও কঠিন। আবার কাজ না করলেও পেট চালানো দায়।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, শৈত্যপ্রবাহ কেটেছে। তামপাত্রাও খানিকটা বেড়েছে। কিন্তু বাতাসের গতিবেগ আর সূর্যের উত্তাপ না থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রার কিছুটা উন্নতি হতে পারে। এরপর আবার ১০ জানুয়ারি থেকে আবারো শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।