নড়াইলে ছাত্র আন্দোলনে গুলির ঘটনায় ২৯ জনের নামে মামলা
- ফরহাদ খান, নড়াইল
- ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৯
নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ও মারধরের ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা শাখার সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আকাশ ঘোষ রাহুলসহ ২৯ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরো ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আবেদনটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়টি মামলার আইনজীবী রিয়াজুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ পলইডাঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলাম আদালতে এ মামলা করেন বলে জানা গেছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ, লাহুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন, লাহুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল সালাম সিকদার।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামিরা স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে গত ৪ আগস্ট নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, মারধরসহ বিভিন্ন ধরণের হামলা চালায়। নড়াইল শহরের রাসেল সেতুর পূর্ব পাশে ছাত্র-জনতার কর্মসূচি চলাকালে এবং সেতুর ওপর দিয়ে শহরে প্রবেশের সময় তারা ছাত্র-জনতার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। এছাড়া বোমাবর্ষণ ও লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে।
এ মামলায় যুবলীগ নেতা এনায়েত হোসেন, সাফায়েত মোল্যা, জামিরুল ও উজ্জ্বল শেখের হাতে থাকা অবৈধ শর্টগান, রিভলবার ও পিস্তল দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায় এবং বোমা বর্ষণ করে। আসামিদের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি লেগে মামলার বাদি শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। এ সময় শফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে সেতুর ওপর থেকে চিত্রা নদীতে ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা