বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর বাড়িতে গেলেন আমিরে জামায়াত
- বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
- ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৯
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে ইন্তেকাল করা মো: আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়েছেন আমিরে জামায়াত ড. শফিকুর রহমান।
আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বড় আঁচড়া গ্রামে মরহুম আবদুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবার-পরিজনকে সান্ত্বনা দেন তিনি।
এ সময় আমিরে জামায়াত মরহুম আব্দুল্লাহর মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করে তাদের খোঁজ-খবর নেন। পরে আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করে তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আব্দুল্লাহ এলাকার গৌরব। তার কারণে আজ আমাদের এখানে আসা। আব্দুল্লাহ শহীদ না হলে আদৌ এখানে আসার সৌভাগ্য হতো কিনা আমি জানি না। শহীদ আব্দুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার জন্য নিজের সম্ভাবনাময় জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। তার আত্মত্যাগের জন্য জাতি আজ গর্বিত। আমি আশা করি সারাদেশ তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে এবং তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা প্রদান করবেন। আমি মহান রবের নিকট দোয়া করি-তিনি যেন আবদুল্লাহকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফীক দান করুন।’
ড. শফিকুর রহমান শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তার পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরহুম আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর জেলা শাখার আমির গোলাম রসুল, শার্শা থানা আমির রেজাউল ইসলাম ও থানা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।