মীমাংসা পছন্দ না হওয়ায় ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখম
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩২
চুয়াডাঙ্গায় ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎ (২৪) নামের এক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকার মাথাভাঙ্গা ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎ চুয়াডাঙ্গা শহরতলি দৌলতদিয়াড় গ্রামের সরদারপাড়ার মহর আলীর ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার দিন রাতে বিদ্যুৎ বজলুর চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক সেখানে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় বিদ্যুৎকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। জখম গুরুতর হওয়ায় সদর হাসপতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় হাসপাতালে এসে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। রাত ১২টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে সদর হাসপতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।
বিদ্যুতের ঘনিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, একটি ত্রিভূজ প্রেমঘটিত বিষয়ের মীমাংসা করেছিলেন বিদ্যুৎ। তবে মীমাংসার ফল বিপরীতে যাওয়ায় রাগান্বিত হয়ে একই এলাকার তিব্বত ওরফে মেন্টাল তমাল, আকাশ ও রবিনসহ কয়েকজন যুবক কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিদ্যুৎকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কলেজ ছাত্রদলের একজন কর্মীর প্রেমঘটিত একটি বিষয়ের মীমাংসার জন্য বিদ্যুতের সাথে বসেছিল দু’টি পক্ষ। মীমাংসা মনপুত না হওয়ায় একই এলাকার আকাশ, মেন্টাল তমাল, রবিনসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে শুনেছি। এরা যুবলীগের কর্মীও ছিল। বিদ্যুৎ সকলকেই চেনে যারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি, অপারেশন) হোসেন আলী বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল হোসেন বিদ্যুতের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দৌলতদিয়াড় স্থানীয় যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের মাদকাসক্ত কতিপয় ক্যাডাররা বিদ্যুৎকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাজান খাঁন এবং মোমিনুর রহমান মোমিন মালিতা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছে।
একইসাথে বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতারে করে শাস্তির আওতায় আনা না হলে, পরবর্তীতে দুষ্কৃতিকারীদের কোনো ক্ষতির বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ কোনো দায় নেবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা