তালায় পাঁচ মাস পর কবর থেকে নারীর লাশ উত্তোলন
- তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা
- ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৮
সাতক্ষীরার তালায় পাঁচ মাস পর কবর থেকে নাছরিন বেগম (৩৮) নামে এক নারীর লাশ তোলা হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশটি তোলা করা হয়।
এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আব্দুল্লাহ আল-আমিন, তালা সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: হাসানুর রহমান এবং তালা থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
নাছরিন বেগম রায়পুর গ্রামের রফিক শেখের স্ত্রী।
এ ব্যাপারে রফিক শেখ জানান, ‘আমি জীবিকার তাগিদে ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। আমার স্ত্রী নাসরিন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকত। গত ১০ জুন জানতে পারলাম আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রীকে গোছল করিয়ে আমার পরিবারের লোকজন কাফন পরিয়ে রেখেছে। তার মৃত্যুর বিষয়টা নিয়ে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা আমার স্ত্রী নাছরিনকে কবর দিয়ে দেন। পরে জানতে পারলাম যে দিন আমার স্ত্রী মারা গেছে ওইদিন রাতে তাকে ফোন দিয়েছিলেন মাছিয়াড়া গ্রামের মোসলেম গাজীর ছেলে আলমগীর গাজী এবং ইমাম আলী গাজীর ছেলে আবুবকর। তখন আমার সন্দেহ বেড়ে গেল। তারপর ওই দিন পরা তার জামাকাপড় ছেঁড়া দেখে আমার সন্দেহ বেড়ে গেল। পরে তাকে গোসল করানো আবিরন বিবি জানান, গোসল করানোর সময় নাছরিনের শরীরের বিশেষ অঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। বিষয়টি জানার পর বুঝতে পারলাম আমার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার বিষয়টা নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে বিলম্ব হওয়ার কারণে দায়িত্বরত অফিসার কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। কোর্টে মামলা করলে তালা থানাকে মামলাটি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।’
এ ঘটনায় আসামি আলমগীর গাজী ও আবুবকর গাজীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে তালা থানা পুলিশ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-আমিন বলেন, ‘যে সময় ময়নাতদন্তে ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আমরা এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে পারব।’