আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় কমেছে দর্শনায়
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৬
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দু’টি ছাড়া সব ধরনের মালামাল আমদানি বন্ধ থাকায় কমেছে রাজস্ব আয়। কাজ না থাকায় প্রায় অলস সময় কাটাচ্ছেন বন্দর শ্রমিকরা।
জানা যায়, সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল (ফ্লাই এ্যাস) ও খৈল (ডিওসি) ছাড়া অন্যান্য পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দর্শনা রেলবন্দরে ভারতীয় কোনো মালবাহী ট্রেন প্রবেশ না করায় বন্দরের শ্রমিক, সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ও সারাদেশ থেকে আসা ট্রাকচালক-হেলপাররা অলস সময় পার করছেন।
ভারত থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথ দিয়ে মালবাহী ওয়াগনে করে পণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বর্তমানে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ও পোল্ট্রি ফিড তৈরির খৈল ছাড়া অন্য কোনো পণ্য আমদানি হচ্ছে না। আমদানির পরিমাণও খুবই কম। মাসে চার থেকে পাঁচবারের বেশি হচ্ছে না। নানা কারণে আমদানি কমেছে এ বন্দরে।
ব্যবসায়ীদের মতে, ব্যাংক চাহিদা মতো এলসি অনুমোদন না করায় পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। অল্প কিছু পণ্য আমদানি হলেও রেল ইয়ার্ডে নেই আগের মতো সেই কর্মব্যস্ততা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে স্থানীয় অনেক শ্রমিক ও ট্রাকচালক।
শ্রমিক ও ট্রাকচালকরা জানান, কাজ না থাকায় অলস সময় পার করতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে সংসার খরচে। এভাবে চলতে থাকলে পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।
বন্দরের এক শ্রমিক বলেন, আগের সেই ব্যস্ততা নেই বন্দর এলাকায়। শুয়ে-বসে দিন কাটাই। সবকিছু দ্রুত স্বাভাবিক হোক এটাই চাই আমরা। আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে এখন।
এ বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নয়া দিগন্তকে বলেন, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দু’হাজার ৭৯৮টি ওয়াগনে ১২ লাখ ৩২ হাজার ৬১৬ টন খাদ্যদ্রব্যসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায় হয় ৫৯ কোটি টাকা। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নয় হাজার ৭৪৯ ওয়াগনে আমদানি হয় পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৯ টন পণ্য। যা থেকে রাজস্ব আয় হয় মাত্র ২৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এক হাজার ৫৫৪ ওয়াগনে ৯১ হাজার ৯৭৭ টন পণ্য আমদানি হয়। এতে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে চার কোটি ১২ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আশিকুর রহমান আশিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের মাস্টার মির্জা কামরুল হক মোবাইল ফোনে জানান, আপাতত কোনো খাদ্যদ্রব্য আমদানি হচ্ছে না। যে দু’টি পণ্য আমদানি হচ্ছে তা হলো সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ও পোল্ট্রি ফিড তৈরির কাঁচামাল খৈল। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পণ্য আমদানি কমেছে। এতে রাজস্ব আদায়ও কমেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা