অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪১
চুয়াডাঙ্গায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। তবে তার পরিবারের দাবি, মারধর করে হত্যার পর মুখে বিষ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে আলমডাঙ্গা কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ও তার ম-বাবা পলাতক রয়েছেন।
গৃহবধূ পলি খাতুন (২৩) উপজেলার হারদি ইউনিয়নের গোপালদিয়াড় গ্রামের ফরিদ আলীর মেয়ে এবং অভিযুক্ত স্বামী রবিউল ইসলাম একই উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর পশ্চিমপাড়ার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে।
পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীরা জানায়, গত কয়েক মাস ধরে পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে কোনো এক সময় স্ত্রী পলি খাতুনকে ঘরে আটকে মারধর করে তাকে হত্যা করে স্বামী রবিউল ইসলাম। হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে স্ত্রীর লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে রবিউল চিৎকার করতে থাকেন।
পরে রবিউল তার শ্বশুরবাড়িতেও তার স্ত্রী পলি বিষপানে আত্মহত্যার খবর জানান। শ্বশুরবড়ির লোকজন বাড়িতে এলে তোপের মুখে লাশ ফেলে বাড়ি থেকে অভিযুক্ত স্বামী রবিউল ইসলাম তার বাবা গিয়াস উদ্দীন ও মা পারুলা খাতুন পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাত ১১টার দিকে পলি খাতুনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পলি খাতুনের বাবা ফরিদ আলী রবিউলের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের প্রস্তুতি নেন।
পলির বাবা গিয়াস উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, ‘জামাই রবিউল এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া থাকায় প্রতিবাদ করায় মেয়ের ওপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার আমার মেয়েকে মারধর করায় তিনি (পলি) আমার বাড়িতে আসতে ছিল। গ্রামের মধ্য থেকে তাকে ফেরত নিয়ে মারধর করে হত্যা করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার মেয়ের লাশ ভিন্ন খাতে নিতে তার মুখে বিষ দেয়া হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে সাত মাসের মেয়ে ও দুই বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।’
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, ‘লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা