১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভিসা প্রদানের বিধিনিষেধে কমেছে ভারতগামী যাত্রী

বেনাপোল চেকপোস্ট - নয়া দিগন্ত

ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে ভারত সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করায় যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দু’দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত ক্রমেই কমে আসছে। যাত্রী যাতায়াত কমে যাওয়ায় ভ্রমণ কর বাবদ কমছে রাজস্ব আদায়। প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে।

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সাত-আট হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে। বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। দূরত্ব কম হওয়ায় বেশিভাগ যাত্রী এই পথেই ভারত যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বাংলাদেশের বেশিভাগ যাত্রী চিকিৎসা ছাড়াও বিজনেস ও ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে যান।

ভারত সরকার বিজনেস ভিসা না দেয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। শেখ হাসিনার পতনের আগে প্রতি মাসে গড়ে ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো। বর্তমানে রাজস্ব আদায় হচ্ছে মাসে তিন কোটি টাকা।

বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে ভারতে যাচ্ছেন। ভিসা পেতেও অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। আগেও বেনাপোল হয়ে ভারতে গেছেন, কিন্তু চেকপোস্টের এমন চিত্র কখনো দেখেননি তারা। তারা কয়েকজন ছাড়া ভারতে যাওয়ার আর কোনো যাত্রীই নেই।

বর্তমানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ভিসা অফিস থেকে প্রতি দিন ৩১৫ জনকে মেডিক্যাল ভিসা দেয়া হচ্ছে। সাথে স্টুডেন্ট ভিসা এবং জরুরি ভিসা প্রদান করা হচ্ছে।

বেনাপোল সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে ভারত সরকার বাংলাদেশীদের জন্য টুরিস্ট ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে। টুরিস্ট ভিসা না দেয়ার কারণে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার আগের থেকে অনেক কমে গেছে।

তিন আরো জানান, ট্যুরিস্ট ভিসা চালু না করলে আগামী এক মাসের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। যাত্রী না থাকায় আমাদের পরিবহন ব্যবসায়ও ধস নেমেছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ইমতিয়াজ হোসেন জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে আগে পাঁচ থেকে সাত হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন। ৫ আগস্টের পর যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ভিসা না দেয়ায় যাত্রী সংখ্যা নেই বললেই চলে।


আরো সংবাদ



premium cement