২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মেহেরপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেফতার

পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম - ছবি : নয়া দিগন্ত

মেহেরপুরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম এ তথ্য জানান। এর আগে, গেল ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গা ও রাজবাড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারা হলেন ডাকাত দলের সর্দার আলতাফ মণ্ডল (৫৩), রমজান আলী (৪৩) ও আসাদুল ইসলাম (৩৪)। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক দেশীয় অস্ত্র, ডাকাতিতে ব্যবহৃত পোশাক সহ বিভিন্ন সরাঞ্জম উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডাকাত দলের সর্দার আলতাব হোসেন তার সদস্যদের নিয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ড্রামট্রাক, আলমসাধু, হানিফ পরিবহণসহ অন্য যানবাহনের গতিরোধ করে। গাড়ির চালক, হেলপার ও সাধারণ যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এছাড়া ড্রাম ট্রাকের একজন ড্রাইভার এবং একজন হেলপারকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে গাংনী থানার একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর কিছুদিন আগেও ডাকাত দলের সদস্যরা দুরপাল্লার পরিবহণের চালকদের জিম্মি করে নগদ অর্থ লুট নেয়। ঘটনার পর থেকেই মামলার মূল রহস্য উৎঘাটনে অভিযানে নামে গাংনী থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল মামলার মূল রহস্য উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, গেল ৫ নভেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের আরো একটি যৌথ অভিযানে ডাকাত দলের সর্দার আলতাফ মণ্ডলকে রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সেনপাড়া কালিতলা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ সাত শ’ টাকা ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটা জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় আটটি ডাকাতি মামলা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। এরপর পরদিন দলটি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার বড়বোয়ালিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। পরে ওই গ্রাম থেকে রমজান ডাকাত ও আসাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।

তিনি আরো বলেন, আসাদুল একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসমি। রমজানের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা ও একটি চুরির মামলা রয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়। আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, ডাকাতি ও ছিনতাইরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি টহল জোরদার করা হচ্ছে।

বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট ও লাইটের ব্যবস্থা করতে পারলে অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল