খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুর
- খুলনা ব্যুরো
- ০২ নভেম্বর ২০২৪, ২২:২৩
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে শতাধিক যুবক নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে মিছিল নিয়ে মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিয়োগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে এ ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে শতাধিক যুবক নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে মিছিল নিয়ে ডাকবাংলো মোড়ে আসে। তারা জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে প্রবেশ করে কার্যালয়ের ভেতরের চেয়ার-টেবিল, টেলিভিশন, আসবাবপত্র ও দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা বেশ কিছু আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র কার্যালয়ের সামনে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ সময় ডাকবাংলো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে হামলাকারীরা জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর থেকে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মুনীর উল গিয়াস বলেন, ৫০ থেকে ৬০ জন যুবক মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টি অফিসে ঢুকে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কার্যালয়ের ভেতর থেকে দু’টি প্লাস্টিকের চেয়ার বাইরে এনে অগ্নিসংযোগ করেছে। তবে যারা ভাঙচুর করেছে তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। প্রয়োজন হলে রোববারও পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নেতারা অভিযোগ দিলে আইনিব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা জেলা পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে যখন ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় সে সময় মাগরিবের নামাজের কারণে বেশিভাগ নেতা-কর্মী দলীয় কার্যালয়ে ছিল না। ফলে কেউ বাধা দিতে পারেনি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার বিকালে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। এছাড়া ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।