২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গুদামের তালা ভেঙে খাদ্যবান্ধবের চাল লুটের অভিযোগ

গুদামের তালা ভেঙে খাদ্যবান্ধবের চাল লুটের অভিযোগ - ছবি : নয়া দিগন্ত

যশোরের মনিরামপুরে প্রকাশ্যে দিনের আলোতে গুদামের তালা ভেঙে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫১৯ উপকারভোগীর চাল লুটের অভিযোগ উঠেছে ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজের অনুসারীদের দিয়ে আলমসাধু ও ইঞ্জিন ভ্যানে করে ৫০ কেজি ওজনের ৩১২ বস্তা চাল পরিবেশকের গুদাম থেকে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঝাঁপা বাজারের পরিবেশক সাগর হোসেন।

পরিবেশকের অভিযোগ বিএনপি নেতা আলাউদ্দিনের লোকজন চাল গুদাম থেকে সরিয়ে নেয়ার পর থেকে তিনি উপজেলা খাদ্য অফিস ও থানা পুলিশকে ঘটনা জানিয়ে প্রতিকার পাননি।

ঝাঁপা বাজারের পরিবেশক সাগর জানান, আমার উপকারভোগীর সংখ্যা ৫১৯ জন। ঝাঁপা বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে খাদ্যবান্ধবের চাল বিক্রি করতাম। সেখানে নিরাপত্তাবোধ না করায় সোমবার অক্টোবর মাসের চাল সরকারি গুদাম থেকে তুলে আমার বাড়ির পাশের একটি গুদামঘরে রেখেছি। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে চাল বিক্রি করতে উপকারভোগীদের খবর দেয়া হয়েছিল। সকালে কার্ডধারীরা চাল নিতে আসার আগে আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে তালা ভেঙে গুদাম থেকে চাল বের করে ভ্যান ও আলমসাধু বোঝাই করে নিয়ে গেছেন।

সাগর আরো জানান, আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে গত সেপ্টেম্বর মাসের চাল ঝাঁপা বাজারের আমাদের ঘরটিতে রেখে রিতরণ করেছিলাম। এখন আলাউদ্দিনের লোকজন আমাদের সেই গুদাম ঘরটি দখলে নিয়েছেন। এজন্য খাদ্য অফিসের পরামর্শে এবারের চাল তুলে ঝাঁপা বাজার থেকে এক কিলোমিটার দূরে আমার বাড়ির পাশের রস্তার মোড়র একটি ঘরে রেখেছিলাম।

সাগর অভিযোগ করেন, চাল নিয়ে যাওয়ার খবর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে ফোন করে জানিয়েছি। কেউ আসেনি। ইউএনওকে বারবার কল করেছি তিনি ফোন ধরেননি।

অভিযোগের বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, চাল তুলে ডিলার খারাপ উদ্দেশে নিজের বাড়িতে রেখেছিল। সকালে ইউনিয়নের বহু মানুষ জড়ো হয়েছিল সেখানে। আমরা বলেছি চাল এখানে রাখা যাবে না। ঝাঁপা বাজারের আগের সেই ঘরে নিয়ে এসো। আমার সাথে থেকে শান্তিপূর্ণভাবে চাল বিতরণ করব। সেই হিসেবে গ্রামের সাধারণ মানুষ চাল ডিলারের বাড়ি থেকে সরিয়ে এনে ঝাঁপা বাজারের ঘরে রেখেছে।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের লোক চাল পেয়েছে। জামায়াত বিএপির কাউকে দেয়নি। আমরা বলেছি সেটা আর হবে না। এজন্য চাল ঝাঁপা বাজারে এনে রাখা হয়েছে। আমরা ইউএনওর সাথে কথা বলে চাল বিতরণ করব।

মনিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রোজিৎ সাহা বলেন, আমরা নির্দেশনা দিয়েছিলাম ডিলার নিরাপত্তাহীনতা বোধ করলে তিনি নিজের হেফাজতে রেখে চাল বিতরণ করতে পারবেন। সেই হিসেবে ঝাঁপা বাজারের ডিলার চাল তুলেছিলেন।

এই বিষয়ে জানতে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমার প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement