বেনাপোলে রাজস্ব আয় কমেছে ২৪০ কোটি টাকা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪৭
বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ছয় হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী বছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে এক হাজার ৩০৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এ সময় পণ্য আমদানি হয়েছে তিন লাখ ৮২ হাজার ৬১৫ মেট্রিক টন। আর রফতানি করা হয়েছে নয় হাজার ৬৪৯ মেট্রিক টন।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি করা হয়েছিল ২৬ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। ২০১৯-২১ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি করা হয় ২০ লাখ ১১ হাজার ছয় মেট্রিক টন পণ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান যে বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের দাম ঊর্ধ্বগতি আর সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়েছেন। বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পণ্য আমদানি কমিয়েছেন। তারা দেশের পরিস্থিতি দেখছেন। আশা করা যাচ্ছে, সামনের মাসগুলোতে আমদানি রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক গতি পাবে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু জানান, গত আগস্ট মাসে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের পরিস্থিতি কিভাবে চলবে, তা পর্যবেক্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা। অনুকূল পরিবেশ থাকলে সামনে বাণিজ্য গতি ফিরে আসবে।
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, দেশে জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলন চলায় ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সামনে আমদানি-রফতানি বাড়বে। তখন রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে। সরকার পরিবর্তনে ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা দেশের পরিস্থিতি কোথায় যায় সেটি দেখছেন। আবার ডলারের উচ্চমূল্যও একটি বড় ব্যাপার। তবে আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে বাণিজ্য গতি পাবে।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, গেল জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে আন্দোলন চলার কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি থেকে বিরত থেকেছেন। এখন ডলারের পরিস্থিতিও স্থিতিশীল। আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে ব্যবসায়ীরা পুরোদমে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু করবেন। তখন রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা