বাবা-ছেলেকে হত্যার ২৫ বছর পর বিচার পেতে সংবাদ সম্মেলন
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৫৭
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা রায়সা-খাসকররা গ্রামে ২৫ বছর আগে রহিম বকস ও তার ছেলে শফিউল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এ সংবাদ সম্মেলন করেন শফিউল ইসলামের ছেলে এস এ হৃদয়।
আজ শনিবার (২৬ সেপ্টম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আলমডাঙ্গা থানা আমলী আদালতে উপজেলার মধুপুর গ্রামের মো: বাবলুর রহমান ও খেজুরতলা গ্রামের মো: মুঞ্জুর আলীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন নিহত শফিউল ইসলামের ছেলে এস এ হৃদয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার অহিদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাভলী নাজনীন বাদীর লিখিত অভিযোগ আমলে নেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সাক্ষীদের জবানবন্দি লিখিতভাবে রেকর্ড করে আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
মামলার বর্ণনায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ‘আসামিরা এলাকার চরমপন্থী দলের সদস্য। শফিউল ইসলাম ছিলেন রায়সা জামে মসজিদের ইমাম এবং তার বাবা রহিম বকস প্রামাণিক এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন। এজাহারনামীয় দু’ আসামি ঘটনার কয়েক মাস আগে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে বাবা–ছেলের কাছে দু’ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা ১৯৯৯ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে শফিউলকে বাড়ির উঠানে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন। ওই সময় রহিম বকস এগিয়ে এলে তাকেও গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর আসামিরা অবৈধ বন্দুক থেকে ফাঁকা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। যা নিয়ে ওই সময় স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়।’
২৫ বছর পর মামলা করার বিষয়ে বাদী এস এ হৃদয় সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন, ‘পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় তার পরিবারের লোকজন এত দিন মামলা করতে সাহস পাননি। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকায় বাদী বিচারের আশায় মামলা করছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা