২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩০, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

বেনাপোল দিয়ে পঞ্চম চালানে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম

ডিম - সংগৃহীত

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাড়ে সাত টাকা দরের আরো দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচটি চালানে নয় লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে পঞ্চম চালানের ডিম বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।

জানা গেছে, আগামী মাসের মধ্যে সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরো ৪০ লাখ ডিম আমদানি করা হবে। ইতোমধ্যে নয় লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। ঘাটতি পূরণে সরকার আরো সাড়ে চার কোটি পিস মুরগির ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলোও পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম আনা হয়েছে পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা দরে। প্রতিটি ডিমের আমদানি শুল্ক এক টাকা ৮৩ পয়সা, সব মিলিয়ে একটি ডিমের দাম সাড়ে সাত টাকার একটু বেশি। এমন পরিস্থিতিতে পেয়াজ ও আলুর মতো ডিম আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা।

বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে ডিম আমদানির পাঁচ চালানে মুরগির নয় লাখ ৮৯ হাজার ৩১০টি ডিম বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। ঢাকার ‘হাইড্রো ল্যান্ড সল্যুশন’ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো আমদানি করেছেন।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশনের প্রতিনিধি শাহ আলম বলেন, ‘দু’মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মাসের ১০ সেপ্টেম্বর এর সময়সীমা শেষ হয়। এর মধ্যে মাত্র দু’টি চালানে প্রায় তিন লাখ ডিম আমদানি করার সুযোগ হয়। রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। এ জন্য আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরো দু’মাসের সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়, যেটা নভেম্বরে শেষ হবে।’

তিনি আরো জানান, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অথচ প্রতিটি ডিমের শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে এক টাকা ৮৩ পয়সা (অন্যান্য খরচসহ)। এই শুল্ক ৫০ পয়সার নিচে রাখলে বাজারে ডিমের দাম অনেক কমে যেত। তারা পেয়াজ ও আলুর মতো ডিমের শুল্ক মওকুফ করার জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন।

ডিমের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টম হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাড়ে সাত টাকায় প্রতিটি ডিম আমদানি হলেও পরিবহন, শ্রমিক, ওয়েস্টেজ (নষ্ট ডিম) বাবদ প্রতিটি ডিমে আরো অন্তত তিন টাকা খরচ হয়। আমদানি করা প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৭০ পয়সা দরে পাইকারি বিক্রি হয়।

বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমদানি করা ডিমের শুল্কায়নসহ প্রতিটির দাম পড়েছে সাড়ে সাত টাকার মতো। গত বছরের ৫ নভেম্বর আসে প্রথম চালান, ৯ সেপ্টেম্বর আসে দ্বিতীয় চালান এবং চলতি মাসের ৬, ৭ ও ১৯ তারিখে আসে ডিমের তিনটি চালান। গত বছর ঢাকার বিডিএস করপোরেশন একই দামে ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করেছিল।’


আরো সংবাদ



premium cement
মিরপুরে সাকিব ইস্যুতে দুই পক্ষের মারামারি দুর্নীতিতে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট শেখ হাসিনা এখন ভারতে পিএইচডি করছেন : রিজভী ‘নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে ইউপি জনপ্রতিনিধিদের বিকল্প নেই’ পুলিশের এএসপিদের কুচকাওয়াজ স্থগিতের ‘অনিবার্য কারণ’টি আসলে কী? ১০০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট দক্ষিণ লেবাননে অর্ধ-শতাধিক জায়গায় ইসরাইলের হামলা হাইকোর্টে কিছু বিচারকের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে : আইন উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরির ডক ভেঙে নিহত ৭ ইসরাইল গাজায় গণহত্যা করছে : কমলা হ্যারিস পবিপ্রবিতে গুচ্ছের চূড়ান্ত ভর্তি শুরু গোপালগঞ্জে ভ্যান-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নিহত ১

সকল