১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩০, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

আমদানি স্বাভাবিক হলেও কমছে না কাঁচা মরিচের দাম

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আমদানি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলসহ স্থানীয় সব খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

কারণ হিসেবে দুর্গাপূজার জন্য টানা পাঁচ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে এমন দাম বাড়াতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানি বাড়লেও আড়তে কাঁচা মরিচের দাম তেমন কমেনি। টানা পাঁচ দিন বন্দর বন্ধ থাকবে জেনে আড়তদাররা কাঁচামাল গুদামজাত করে দাম বৃদ্ধি করেছেন।

বুধবার সকালে বেনাপোল ও শার্শার একাধিক বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপূজার আগেও এই সব বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। আজ তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪০০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে, আজ দুই দিনে এ বন্দরে কয়েকগুণ বেড়েছে কাঁচা মরিচের আমদানি। গত সোমবার এক দিনে ৫০ ট্রাকে ৫৮১ টন ৯৭০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ১২ ট্রাকে ১৪৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এই মরিচের ক্রয় থেকে শুরু করে শুল্ক করাদি সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে ৯৬ থেকে ১০০ টাকা। অথচ যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। তবে বন্দর বন্ধ হওয়ায় মরিচের দাম বেড়েছে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ বিক্রেতারা।

বেনাপোল চেকপোস্ট বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা ফজলুর রহমান বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও মরিচ কিনেছিলাম ২০০ টাকা কেজি। আজ দেখছি ৩৮০ টাকা কেজি। এভাবে চললে আমরা চলবো কী করে?’

কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকার বাসিন্দা। শুনছি এবং দেখছি, এই বন্দরে প্রচুর কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। সেই হিসেবে তো ১০০ টাকার নিচে দাম হওয়া দরকার। অথচ এখনো আমাদের ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজির ওপরে কাঁচা মরিচ কিনে খেতে হচ্ছে।’

বেনাপোল বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী রাশেদ আলী বলেন, ‘বেশি দামে মরিচ কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। সব সবজি এবং পেঁয়াজের দাম ও আকাশ ছোঁয়া। তবে পূজার কারণে পোর্ট বন্ধ থাকায় বাজারে বড় বড় ব্যবসায়ীরা দাম বেশি পাবার আশায় বস্তা বস্তা কাঁচা মরিচ মজুত করেছিল। আমদানি স্বাভাবিক হলে আবার দাম কমে যাবে।’

বেনাপোল বন্দরের পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, ‘বর্তমানে অনেক বেশি কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ভাবটা অচিরেই কেটে যাবে। গত দুই দিনে এই বন্দরে দিয়ে ৬২ গাড়ি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াসিন জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছেন। ক্রয়-বিক্রয় রশিদ, মূল্য তালিকা, বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কি না সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মরিচের দামে কোনো কারসাজি হচ্ছে কি না তাও যাচাই করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল