১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

চৌগাছায় পুলিশ হেফাজতে রাজু হত্যা, ৬ বছর পর মামলা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

যশোরের চৌগাছার দীঘলসিংহা গ্রামের কৃষক রাজু আহম্মেদকে পুলিশ হেফাজতে হত্যার অভিযোগে বাঘারপাড়া থানার সাবেক ওসিসহ ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ছয় বছর পর মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ অক্টোবর) নিহত রাজুর মা কোহিনুর বেগম যশোর আদালতে এ মামলা করেন।

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এ ঘটনায় করা হত্যা মামলার নথি তলবসহ আগামী ২১ অক্টোবর অভিযোগের শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

বাদিপক্ষের আইনজীবী রুহিন বালুচ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন বাঘারপাড়া থানার সাবেক ওসি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, এসআই নাসিরুল হক খান, এসআই শাহ আলম, এএসআই শামীম রেজা, এএসআই দেবাশীষ মণ্ডল, এএসআই ফারুক হোসেন, কনস্টেবল জিন্নাহ আলী, কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, কনস্টেবল গোলাম মোস্তফা ও চৌগাছা থানার এসআই জামাল।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজু আহম্মেদ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১৮ সালের ৩০ মে সন্ধ্যায় চৌগাছা থানার এসআই জামাল দিঘলসিংহা গ্রামের রাজুর বাড়িতে গিয়ে কথা আছে বলে তাকে নিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে রাজুর মাসহ স্বজনেরা চৌগাছা থানায় গিয়ে এসআই জামালের কাছে ছেলের সন্ধান চান। তখন এসআই জামাল জানান, তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর রাজুর মাসহ স্বজনের বাড়িতে পৌঁছাতে না পৌঁছাতে বাঘারপাড়া থানার এসআই নাসিরুল হক খান ফোন করে জানান, রাজুকে তিন কেজি গাঁজা ও ২০০ পিস ইয়াবাসহ (মাদক) আটক করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, ওই রাতে রাজুর মা ও স্বজনেরা বাঘারপাড়া থানায় গেলে রাজুকে ছাড়াতে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। ওই সময় এএসআই দেবাশীষ মণ্ডলের হাতে এক লাখ টাকা দিয়ে রাজুকে আদালতে চালান করে দিতে অনুরোধ করেন তার স্বজনেরা। এএসআই দেবাশীষ মণ্ডল টাকা নিয়ে পরদিন দুপুরে রাজুকে থানা থেকে নিয়ে যেতে বলেন স্বজনদের। পরদিন সকালে রাজুর মা ও স্বজনেরা জানতে পারেন রাজুর লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে। খোঁজ নিয়ে রাজুর স্বজনেরা জানতে পারেন আসামিরা যশোর-মাগুরা সড়কের ভাটার আমতলা গরুর হাটের পাশের মেহগনি বাগানে গুলি করে হত্যা করেছে রাজুকে।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ২০১৮ সালের ৩১ মে বাঘারপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে গত ২০১৯ সালের ৬ মার্চ চূড়ান্ত রিপোর্টের শুনানি শেষে মামলাটি নথিজাত করা হয়।

এ ঘটনায় ওই সময় রাজুর পরিবার মামলা করতে চাইলে আসামিরা বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসেন। ফলে ঘটনার পর মামলা করা যায়নি। দীর্ঘদিন পর পরিবেশ অনুকূলে আসায় বাদি আদালতে মামলা করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
আইনজীবীকে বিচারপতির হুমকি, বেঞ্চ ভেঙে দিলেন প্রধান বিচারপতি ‘দুঃসময়ে উম্মতে মোহাম্মদীকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছিলেন বড়পীর’ এইচএসসি পাস করলেন ৪৩ বছর বয়সের স্বামী ও ৩৩ বছরের স্ত্রী বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তায় প্রস্তুত ইইউ কুষ্টিয়ায় অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো বিজিবি তারেক রহমানের সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চায় ইউট্যাব নবীনগরে ২১ লাখ টাকার নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ‘ফরিদপুরে মেডিক্যালে চিকিৎসা সেবার মান আরো উন্নত করা উচিত’ মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার ইসরাইলের চূড়ান্ত যুদ্ধ ও বিলোপ শঙ্কা সিলেটে গরু-মহিষসহ পৌনে ২ কোটি টাকার মালামাল জব্দ

সকল