আশাশুনিতে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ আটক ৭
- সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
- ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:০০
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মোছাম্মৎ কমলা খাতুন (৫৫) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামীসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দক্ষিণ দরগাহপুর গ্রামের বাড়ির অঙিনায় বিচলী গাদার পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ মোছাম্মৎ কমলা খাতুন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ দরগাহপুর গ্রামের মো: মোবারক আলী গাজীর স্ত্রী।
নিহতের স্বামী মোবারক আলী গাজী জানান, ‘ফজরের আজান দিলে তিনি তার স্ত্রী কমলা খাতুনকে নামাজ পড়ার জন্য ডেকে দিয়ে বাড়ির পাশে মাছের ঘেরে চলে যান। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন তার স্ত্রী ঘরে নেই। এ সময় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির আঙিনায় বিচলী গাদার পাশে গলাকাটা অবস্থায় স্ত্রীর লাশ দেখতে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে আশাশুনি থানায় খবর দেয়া হয়।’
স্থানীয়দের সূত্রে পুলিশ জানায়, ‘নিহত গৃহবধূর দুই ছেলে মো: ওলিউর রহমান (২৪) ও মো: ফয়জুল্লাহ (২১) মাছের ঘের ও ভাটায় কাজ করেন। তারা দু’জনেই বিবাহিত। পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত গৃহবধূ চার থেকে পাঁচ বছর ধরে মেরুদণ্ডের ব্যথায় আক্রান্ত ছিলেন। মোবারক আলী গাজীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিল নিহত কমলা খাতুন। পারিবারিক কলহের কারণে দু’জন আলাদা ঘরে ঘুমাতেন।’
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কি কারণে তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মোবারক আলী গাজী, তার প্রথম পক্ষের ছেলে খানজাহন আলী, দ্বিতীয় পক্ষের দুই ছেলে ওলিউর রহমান ও ফয়জুল্লাহসহ তাদের তিনজনের স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সুরহতাল প্রতিবেদন শেষে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো মামলা করা হয়নি। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা