যশোরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের কর্মসূচিতে হামলা, জড়িতদের গ্রেফতার দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৪১
হয়রানিমূলক বদলির প্রতিবাদে বুধবার যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
জানা যায়, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জিএম ইছাহাক আলীর অপসারণ ও গ্রেফতার দাবি করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এ লাইনম্যানসহ বিভিন্ন পদে হয়রানিমূলক বদলিসহ নানা সময়ে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
যেখানে সিনিয়র জিএম ইছাহাক আলীর নির্দেশে ভাড়াটে ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো: শাহানুর হোসেনসহ কয়েক জন কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন।
বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, কেপিআইভূক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো সংবেদনশীল জায়গায় ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ন্যাক্কারজনক। বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গাৎসবের সময় এ ধরনের হামলার ঘটনা উস্কানিমূলক ও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র।
তারা বলেন, জিএম ইছাহাক আলী এর আগেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন, প্রাণনাশের হুমকি দেন। এছাড়াও তিনি নারী কর্মীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ যৌন নিপীড়ন করেন। তিনি একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনি বিভিন্ন সময় দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিষয়গুলো আগেও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যানসহ বিদ্যুৎ বিভাগকে অবগত করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা দাবি করেন বুধবারে হামলার ঘটনায় মূল ইন্ধনদাতা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্তী, প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদার, নিয়ন্ত্রক মো: ইদ্রিস, নির্বাহী পরিচালক মো: আসাফউদ্দৌলা, পরিচালক মো: শফিকুর রহমান ও পরিচালক ফকির শরীফ উদ্দিন আহমেদ।
সিনিয়র জিএম ইছাহাক আলীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে তারা দাবি জানান। অন্যথায়, দেশের অন্যান্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে এ ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, সিনিয়র জিএম ইছাহাক আলী ও প্রশাসন দায়ী থাকবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা