চুয়াডাঙ্গায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী ডাকাত দলের তাণ্ডব, স্বর্ণালঙ্কার-টাকা লুট
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:২১
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার আট কপাট এলাকায় সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তিনঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে ডাকাতদল। এ সময় ঢাকা থেকে আসা নৈশকোচ, ট্রেনযাত্রী ও গর্ভবতী নারীসহ বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও গয়নাগাটি লুটে নেয় তারা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভোর ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত আলমডাঙ্গার আটকপাট এলাকায় এ তাণ্ডব চালায় ডাকাত দল।
তারা একটি মেহগনি গাছ কেটে সড়কে ব্যারিকেট দেয়। ভোর ৪টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত যারাই ওই সড়ক ধরে যাওয়া আসার চেষ্টা করেছে তারাই ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে।
প্রথম ডাকাতের কবলে পড়েন আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মরহুম খোকা মন্ডলের ছেলে তাসমান। গভীর রাতে তাসমানের গর্ভবতী মেয়ে সুলতানার প্রসব বেদনা ওঠে। সেই রাতেই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিবেশী হাসানের ভ্যানে করে আলমডাঙ্গার একটি স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে আসছিলেন। ভোর ৪টায় আট কপাট এলাকায় পৌঁছালে তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতরা তাসমান ও ভ্যানচালক হাসানকে বেদম পিটিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। একই সময় তাসমানের স্ত্রীর কানের ও হাতের গয়না কেড়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।
এরপর রাত সাড়ে ৪টার দিকে ডাকাতদলের কবলে পড়েন পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে বেলাল। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে গভীর রাতে ট্রেন থেকে আলমডাঙ্গা স্টেশনে নামেন। দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে বসে থেকে রাত সারে ৪ টার পর ভ্যানে করে পাঁচলিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতরা প্রথমে বেলাল ও ভ্যানচালককে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এরপর গামছা দিয়ে বেলালের মুখ বেঁধে ফেলে।
সবশেষে ডাকাতের কবলে পড়েন হাউসপুর গ্রামের রহমানের ছেলে কশাই শরিফুল ইসলাম। তিনি ভোরের দিকে আসাদুল নামের একজনের ভ্যানে করে বেলগাছি গ্রামে যাচ্চিলেন গরু কিনতে। তিনিও ডাকাতের কবলে পড়েন। তাকেও মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা কেড়ে নেয়া হয়। এরপর পরই সকাল হলে ডাকাতরা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। একইসাথে আলমডাঙ্গা-বেলগাছি সড়কের আটকপাটে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা ডাকাতদের তান্ডব থামে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা