২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতাসহ ৭ জনকে কুপিয়ে যখম

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতাসহ ৭ জনকে কুপিয়ে যখম - ছবি : নয়া দিগন্ত

খুলনার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভাণ্ডারদহে বিএনপির নেতাসহ সাতজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) এই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা থানায় একটি মামলা কার হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নতুন ভাণ্ডারদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন একই গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মুক্তার আলী (৬০), তার স্ত্রী মিস্রি খাতুন (৪৭), তার ছেলে মারুফ হোসেন (৩০), মরহুম সুবারদ্দীনের শেখের ছেলে ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমাতউল্লাহ শেখ (৪৫), আবুল মণ্ডলের ছেলে বসির আলী (৩৫), আইয়ুব আলীর ছেলে এশার আলী (৪৫) ও তোফাজ্জেলের ছেলে আকালে মণ্ডর (৫৫)।

রক্তাক্ত অবস্থায় বিএনপি নেতাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নতুন ভান্ডারদহ গ্রামের তানজিল নামের এক যুবক অভিযোগ করে বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকায় সেই সময় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন মিয়া আমাকে মারধরের চেষ্টা করে। এর কারণে বেশ কিছুদিন বাড়িতে ছিলাম না।

তিনি আরো বলেন, আমি শংকরচন্ড ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটরের কর্মরত থাকায় চাকরি থেকে বাদ দেয়ার ভয়ভীতি দেখাতো ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার রাতে ইউপি সদস্যের সাথে দেখা হলে আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান তিনি। আমি প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে মারধর করেন। পরে আমার পরিবারের সদস্যরা ইউপি সদস্যের নিকট আমাকে মারধরের কারণ জানতে গেলে তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। আমরা সম্পূর্ণ নিরস্ত্র ছিলাম। এতে আমার পরিবারের সাত জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে তারা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোরশেদ আলম বলেন, প্রত্যেকের শরীরে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে এনায়েত উল্লাহ'র মাথার ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম গুরুতর হয়েছে। বাকিরা শঙ্কামুক্ত।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে আজ বুধবার মামলার হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement