যশোরের অবৈধ বালি উত্তলনে ভৈরব নদে ধসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি
- এম. আইউব, যশোর অফিস
- ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৩১
অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালি উত্তোলন করায় যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকায় ভৈরব নদের পাড়ে ঘরবাড়িগুলো ধসে যাচ্ছে। এতে ইতোমধ্যে ১৫ থেকে ২০টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েক শ’ পরিবার।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে পুরাতন কসবা এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে দেখা করেন। এ সময় তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জীর কাছে তাদের অসহায়ত্ব তুলে ধরেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা জানায়, জোয়ার-ভাটা বিহীন ভৈরব নদের পাড় ধসে ১৫ থেকে ২০টি বাড়ি ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে। এছাড়াও নদের পাশে বসবাসকারী শতাধিক ব্যক্তির বাড়ির জায়গা ও গাছপালা ভেঙে বিশাল খাদের সৃষ্টি হয়েছে।
তারা জানায়,বসতভিটা রক্ষায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নদের পাড়ে বাঁধ দেয়া হোক। নদের পাড়ে বাঁধ দেয়া না হলে বাকি অংশগুলো বিলীন হয়ে যাবে। অসহায় মানুষরা তাদের শেষ আশ্রয়টুকু রক্ষার দাবি জানান পাউবোর কর্মকর্তার কাছে।
এ সময় নিজের বসতবাড়ি রক্ষা করতে রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডে হাজির হন পুরাতন কসবা ঘোষপাড়ার ভৈরব পাড়ের বাসিন্দা সায়েমা রহমান, শওকত আলী, সজীব ইসলাম, শামীমা জামান, শফিকুল ইসলাম, গৌতম রায়, রাফিয়া আক্তার মৌসুমী, খায়রুল ইসলাম প্রমূখ।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে ঘোষপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন, বারিক আলী, সজীব ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আমেনা বেগম, গোলাম মোস্তফা, সিদ্দিক হোসেন, কোহিনুর বেগম, মোহাম্মদ শাহিন, আলমগীরসহ কমপক্ষে ২০ জনের ঘরবাড়ি নদের মধ্যে ধসে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো শতাধিক পরিবার।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, আমরা খুব শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। জিও ব্যাগের মাধ্যমে আপাতত পাড় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই আমরা কী ব্যবস্থা নেয়া যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করব।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ভৈরব খননের সময় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী লোক ওইস্থানে মেশিন লাগিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে। তারা ওই সময় হাজার হাজার ট্রাক বালি উত্তোলন করায় ভৈরবের এলাকায় ব্যাপক ভ্যাকুয়ামের সৃষ্টি হয়। এ কারণে গত বছরের বৃষ্টিতে নদের পাড়ে ভাঙন শুরু হয়। তখন স্থানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালেও তারা গুরুত্ব দেয়নি। এ বছর টানা বৃষ্টির কারণে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা