২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্র শ্নো ত্ত র

-

প্রশ্ন : শিরক কাকে বলে? রোগমুক্তির জন্য তাবিজ ব্যবহার করা এবং মাজারে বা পীরের দরবারে মান্নত করা কি শিরক?
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর : শিরক অর্থ কারো সাথে কাউকে মিলানো। আল্লাহর সাথে আমাদের দু’টি সম্পর্ক। একটা হলো আল্লাহ আমাদের রব। খাওয়ান, পরান, রিজিক দেন, ভালো করেন, মন্দ করেন তিনি। আরেকটি হলো আল্লাহ আমাদের মা’বুদ। অর্থাৎ আমরা একমাত্র ইবাদত করব আল্লাহর। বান্দার এই ইবাদতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো অংশ দেয়া হলো শিরক। আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ ভালো-মন্দ করতে পারে অথবা আল্লাহ কাউকে ভালো-মন্দ করার ক্ষমতা দিয়েছেন অথবা পৃথিবীতে এমন কেউ আছেন যিনি নেক নজর দিলে বিপদ কেটে যায়Ñ এসব বিশ্বাস ও চিন্তা শিরক। পীর সাহেব বা কেউ একজন দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করতে বাধ্য বা আল্লাহ কারো দোয়া ফেরাতে পারেন না; এসব ধারণা শিরক।
এবার আসুন, তাবিজ ব্যবহার করা শিরক কি না? হাদিস শরিফে তাবিজ ব্যবহারকে শিরক বলা হয়েছে। সাহাবিরা তাবিজকে শিরক বলেছেন, ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে কোনো কোনো আলেম বলেছেন, শুধু কুরআনের আয়াত বা হাদিস দিয়ে তাবিজ দিলে শিরক হবে না। তবে রাসূল সা: ও সাহাবিগণ কুরআনের আয়াত পড়ে ফুঁ দিতেন। কুরআনের আয়াত দিয়ে পানিপড়া বা তেলপড়া এগুলো সুন্নত সমর্থন করে। তবে রাসূল সা: ও সাহাবিগণ তাবিজ ব্যবহার করেননি। পরের আলেমরা তাবিজকে দুই ভাগ করেছেন, একটা হলো যে তাবিজে দাগ দেয়া বা সংখ্যা লিখা এটা শিরক। অন্যটি হলো, যে তাবিজে কোনো দাগ নেই; স্পষ্ট কুরআনের আয়াত বা হাদিস লেখা এটাকে শিরক বলেননি।
আর রোগ মুক্তির জন্য পীরের দরবারে মানত করা বা পীরের কাছে যাওয়াই শিরক পীরের কাছে যেতে হলে আমল শেখার জন্য বা দোয়া-কালাম শেখার জন্য যেতে হবে। আর বিপদ-আপদে আল্লাহর কাছে মুক্তি চাইতে হবে, পীর বা মাজারে নয়।
সূত্র : আস্ সুন্নাহ ট্রাস্ট


আরো সংবাদ



premium cement