২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্র শ্নো ত্ত র

-

প্রশ্ন : মা-বাবা জীবিত বা মৃত থাকলে, তাদের জন্য সহিহ দোয়া কী কী আছে, যা সালাতে বা যেকোনো সময় ব্যবহার করে তাদের জন্য দোয়া করা যায়। অর্থাৎ একটি ওজিফা, যা দিয়ে প্রতিদিন মা-বাবার জন্য রুটিন করে দোয়া করব।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির : রাব্বির হাম হুমা-কামা- রাব্বাইনী- সগির। এটিই পিতামাতার জন্য সবচেয়ে উত্তম দোয়া। সালাত এবং সালাতের বাইরে এই দোয়া আপনি সর্বদা করতে পারেন।
প্রশ্ন : নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে একটু কনফিউশনে আছি। ১. কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত সব দোয়া রুকু, সিজদা ও শেষ বৈঠকে পড়া যাবে কি? রুকু-সিজদাতে কুরআনে বর্ণিত দোয়া করা যাবে না মর্মে কিছু আছে কি? ২. ওই সব অবস্থায় (রুকু, সিজদা, তাশাহুদ) দোয়া করার ক্ষেত্রে একই দোয়া একাধিকবার বা একাধিক দোয়া একই সিজদায় পড়া যাবে কি? ৩. রাহে বেলায়াতে বর্ণিত রুকু-সিজদাহর তাসবিহগুলো এক রুকু বা সিজদাতে একাধিক তাসবিহ পড়া যাবে কি? আর সাধারণত আমরা যেসব তাসবিহ (সুব.......আজিম, সুব.......আ’লা) পড়ে থাকি এই তাসবিহগুলো একেবারে না পড়ে শুধু অন্য তাসবিহ পড়াতে কোনো সমস্যা হবে? ৪. একই সিজদায় একই দোয়া একাধিকবার বা একাধিক দোয়া আমার যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ পর্যন্ত সিজদায় থেকে করা যাবে কি? অর্থাৎ এমন কোনো বাধ্যবাধকতা কি আছে যে আমাকে ১০-১৫ বার এর বেশি দোয়া বা তাসবিহ পড়া ঠিক হবে না?
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির : এক. জি, রুকু ও সাজাদতে কুরআন পড়া যাবে না। নিচের হাদিসটি দেখুন : হজরত আলী রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে রুকু বা সিজদায় কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন। -সহিহ মুসলিম, হাদিস ৪৮০। তাই ফকিহগণ বলেছেন,রুকু-সিজদায় ইচ্ছাকৃত কুরআন পড়লে নামাজ মাকরূহ তাহরিমি হবে। তাই এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। দুই : হ্যাঁ, যাবে। তিন : এই তাসবিহগুলোই রুকু সিজদাতে পাঠ করা উচিত। তবে অন্যগুলোও পড়লেও সমস্যা নেই। চার : না, কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
সূত্র : আস্ সুন্নাহ ট্রাস্ট

 


আরো সংবাদ



premium cement