২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আমানত রক্ষার ফজিলত

-

আমানত অর্থ গচ্ছিত রাখা। আমানতের বিপরীত অর্থ খিয়ানত করা। কারো কোনো সম্পদ গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলে। যে আমানতের হিফাজত করে তাকে আল-আমিন বলা হয়। হজরত মুহাম্মদ সা: আমানতকারীদের সরদার। হজরত মুহাম্মদ সা:-এর কাছে শুধু মুসলমান নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর লোকেরা তাদের মূল্যবান ধনসম্পদ আমানত রাখত। আমানত হিফাজতের জন্য কুরআন ও হাদিসে তাগিদ দেয়া হয়েছে। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার হকদারদের কাছে পৌঁছে দিতে’ (সূরা নিসা : ৫৮)। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তোমার নিকট আমানত রেখেছে; তার আমানত তাকে ফেরত দাও। আর যে ব্যক্তি তোমার আমানত আত্মাসাৎ করেছে, তুমি তার আমানত আত্মাসাৎ করো না’ (আবু দাউদ : ৩/৩৫৩৫)।
আমানত হিফাজতকারী ব্যক্তি হাশরের ময়দানে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত হবেন। হাশরের ময়দানে উপস্থিত অন্যান্য লোক দুনিয়ায় আমানত হিফাজতকারী ব্যক্তিদের দিকে তাকাতে থাকবে। একে অপরের নিকট আমানতকারী ব্যক্তিকে নিয়ে বলাবলি করতে থাকবেÑ তারা কে, তারা তো আমাদের সাথেই ছিল। আজ তারা আমাদের চেয়ে ভিন্ন স্থানে ও ভিন্ন মর্যাদার অধিকারী। হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: বলেছেন, ‘একজন সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী আখেরাতে নবী-সিদ্দিক এবং শহীদগণের সাথে থাকবে’ (তিরমিজি : ৩/১২০৯)।
আমানত খিয়ানত করা মুনাফিকের আলামত। রাসূল সা: বলেছেন, ‘মুনাফিকের আলামত তিনটি : ১. যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে; ২. ওয়াদা করলে বরখেলাপ করে এবং ৩. আমানত রাখলে এতে খিয়ানত করে।’ (মিশকাত, পৃ. ১৭)। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা: মুনাফিকদের অপছন্দ করেন। কারণ, আমানত খিয়ানত করার মাধ্যমে ঈমান চলে যায়। এ জন্য কুরআন ও হাদিসে আমানত খিয়ানত না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের খিয়ানত করো না। আর খিয়ানত করো না নিজেদের আমানতসমূহের, অথচ তোমরা জানো।’ (সূরা আনফাল : ২৭)। ‘নিশ্চয় আমি আসমানসমূহ, জমিন ও পর্বতমালার প্রতি এ আমানত পেশ করেছি। অতঃপর তারা তা বহন করতে অস্বীকার করেছে এবং এতে ভীত হয়েছে। আর মানুষ তা বহন করেছে। নিশ্চয়ই সে ছিল অতিশয় জলিল, একান্তই অজ্ঞ।’ (সূরা আহজাব : ৭২)। হজরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: বলেছেন, ‘যার মধ্যে আমানতদারি নেই, তার ঈমানও নেই। আর যে ওয়াদা পালন করে না তার মধ্যে দ্বীন নেই’ (আহমদ : ১/৮০৫)।
আমানতের হিফাজত করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। পরকালে সাফল্য লাভ করতে হলে আল্লাহ তায়ালার দেয়া আমানতের হিফাজত করতে হবে। যেমনÑ যৌবনের হিফাজত, চোখের হিফাজত, কানের হিফাজত, জবানের হিফাজত, হাত ও পায়ের হিফাজত ইত্যাদি। আল্লাহ তায়ালা সম্পদ দিয়েছেন, দ্বীনের পথে মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য। তা না করে কেউ যদি অশ্লীল মন্দপথে সম্পদ ব্যয় করে; তাহলে সে আল্লাহর দেয়া আমানতের খিয়ানত করল। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতির হিফাজত করে। যারা নামাজের ব্যাপারে যতœবান হয়। এ লোকগুলোই হচ্ছে (জান্নাতের) উত্তরাধিকারী। জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারও এরা পাবে; এরা অনন্তকাল (সেখানে) থাকবে’ (সূরা মুমিনুন : ৮-১১)।
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাত্রা বাড়াতে ট্রাম্প 'ভীষণ চিন্তিত' নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে

সকল