২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আল্লাহর জন্য কোরবানি

-

‘আপনার রবের জন্য নামাজ পড়–ন এবং কোরবানি করুন।’ (সূরা কাউছার : ২)। হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (ইবনে মাজাহ : ৩১২৩)।
কোরবানির সময়কাল আল্লাহর নৈকট্য লাভের উত্তম মুহূর্ত। কোরবানির পশু জবাই করার সাথে বান্দার তাকওয়া অর্জনের সম্পর্ক রয়েছে। আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর রক্ত, গোশত কোনো কিছুই পৌঁছায় না। শুধু বান্দার তাকওয়া পৌঁছায়। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে এর গোশত কিংবা রক্ত পৌঁছায় না; বরং তাঁর দরবারে তোমাদের তাকওয়া পৌঁছায়।’ (সূরা হজ : ৩৭)। যারা তাকওয়ার সহিত কোরবানি করবে; তাদের কোরবানির পশুর রক্ত জমিনে পড়ার আগে আল্লাহতায়ালা তা কবুল করে নেবেন। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি এদের নিকট আদমের দুই পুত্রের গল্পটি যথাযথভাবে শুনিয়ে দিন! যখন তারা দুইজনই কোরবানি পেশ করল, তখন তাদের মধ্যে একজনের নিকট থেকে কোরবানি কবুল করা হলো, আরেকজনের কাছ থেকে তা কিছুতেই কবুল করা হলো না, সে বলল, আমি অবশ্যই তোমাকে মেরে ফেলব (যার কোরবানি কবুল করা হলো), সে বলল, আল্লাহ পাক তো শুধু পরহেজগার লোকদের নিকট থেকেই কোরবানি কবুল করেন।’(সূরা মায়েদা:২৭)।
একমাত্র আল্লাহতায়ালাকে রাজি-খুশি করার উদ্দেশ্যে কোরবানি করতে হবে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে ‘আপনি বলুন, আমার নামাজ, আমার কোরবানিগুলো, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু সবই আল্লাহর জন্য, যিনি প্রতিপালক সমগ্র বিশ্বজাহানের।’ (সূরা আনআম : ১৬৩)।
প্রত্যেক নবী-রাসূলদের সময়ে কোরবানির বিধান প্রচলিত ছিল। এটা নতুন কিছু নয়। প্রত্যেকটি কোরবানির পশু আল্লাহর নামে জবাই করতে হবে। এর ব্যতিক্রম কোনো কিছু হলে কোরবানির পশুর গোশত খাওয়া যাবে না। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কোরবানির বিধান দিয়েছি। তিনি তাদের জীবন উপকরণ স্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে, তোমাদের ইলাহতো এক ইলাহ।’ (সূরা হজ : ৩৪)।
কোরবানির পশু জবাইর মধ্যে ত্যাগের মহিমা শিক্ষার উৎকৃষ্ট উদাহরণ রয়েছে। সব আবেগ-অনুভূতিকে বিসর্জন দিয়ে কোরবানি করতে হয়। তেমনিভাবে দুনিয়ার সব ধরনের লোভ-মোহ-মায়া ও আমিত্বকে বিসর্জন দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার দিকে বান্দাকে ধাবিত হতে হয়। কোরবানির হাকিকত শিক্ষা হলোÑ নিজের ভেতরে যে পশুশক্তি লুকিয়ে আছে; তা বিসর্জন দেয়া বা ত্যাগ করা। আমিত্ব বিসর্জনের প্রকৃত নামই হলো কোরবানি। কোরবানির পশু জবাই থেকে আমিত্ব বর্জনের শিক্ষা নিতে হবে। কোরবানির পশু জবাইয়ের মতো নিজের নফসকে আল্লাহর প্রীতি ও ভালোবাসা লাভের উদ্দেশ্যে কোরবানি করে দিতে হবে। আমরা যদি আমাদের মনের পশুকে কোরবানি দিতে পারি। তাহলে সমাজ ও পরিবারে প্রশান্তির সুবাতাস বইতে থাকবে। সমাজ থেকে হিংসা, নিন্দা, হানাহানি ও মারামারি দূর হবে। পুরো সমাজের চিত্রটা বদলে যাবে। আমরা আল্লাহর প্রীতি ও ভালোবাসা লাভ করতে পারব।
লেখক: প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
খালেদা জিয়ার সাথে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক মাওলানা আতাহার আলীকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস রচিত হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা ‘মানবিক সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি’ ছাত্র সংঘর্ষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের উদ্বেগ কোনো পত্রিকা বন্ধে চাপ প্রয়োগ সহ্য করা হবে না : তথ্য উপদেষ্টা সিলেটে ব্যবসায়ী হত্যায় বাবাসহ ২ ছেলের মৃত্যুদণ্ড ভারতে মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে নিহতের ঘটনায় জামায়াতের প্রতিবাদ গুগল ম্যাপ দেখে গাড়ি চালাতে গিয়ে ব্রিজ থেকে পড়ে নদীতে, নিহত ৩ গাজীপুরে বেক্সিমকো শ্রমিকদের ফের মহাসড়ক অবরোধ ছাত্র সংঘর্ষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় জামায়াতের উদ্বেগ মালয়েশিয়া ভ্রমণকারীদের জন্য সুখবর দিলো দেশটির সরকার

সকল