আল্লাহ যা চান
- আবুল কালাম আজাদ
- ২৮ জুন ২০১৯, ০০:০০
মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাহর কাছে কী চান? আমরা কি তা কখনো অনুভব করেছি, কখনো কি তা আনুধাবন করার চেষ্টা করেছি? আল্লাহ স্রষ্টা আর আমরা তাঁর বান্দাহ। সৃষ্টির কাছে স্রষ্টার কী চাওয়ার আছে বা কী পাওয়ার আছে? তিনি তাঁর সৃষ্টি জগৎকে অতি সুন্দর করে সাজিয়েছেন। যেখানে যা প্রয়োজন সেখানে তিনি সেভাবেই স্থাপিত বা সৃষ্টি করেছেন। তাঁর সৃষ্টি বেশুমার। তাঁর দয়াও সীমাহীন। আল্লাহর দয়া এত অসীম যে, একটি একটি করে গুনে শেষ করা যাবে না। এত বেশুমার সৃষ্টির মধ্যে মানুষ সৃষ্টি আল্লাহ তায়ালার এক অসাধারণ সৃষ্টি। যার সূচনাকালেই ফেরেশতাদের সাথে মানবজাতি নিয়ে কথা হয়। ফেরেশতারা এ বিস্ময়কর সৃষ্টি না করার ব্যাপারে মত দেন। কিন্তু আল্লাহই যেহেতু সব কিছুর ওপরে চূড়ান্ত মালিক।’ একমাত্র ক্ষমতার আধার, তিনিই অতীত-ভবিষ্যৎ-বর্তমান সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল। তাই ফেরেশতাকুল নির্দ্বিধায় তা মেনে নেয় এবং তাঁর প্রতি সিজদায় অবনত হয়।
এখন প্রশ্ন হলোÑ তাঁর সৃষ্টি জগতের অন্য সৃষ্টি নিয়ে কোনো কথাই হলো না, আর মানুষ সৃষ্টির কারণে আজাজিলকে শয়তানে পরিণত হতে হলো! এত বড় একটি বিষয় নিয়ে আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি? এত বড় সাঙ্ঘাতিক ঘটনাকে কি আমরা সত্যিকার অর্থে বিচার-বিশ্লেষণ করেছি? যতদূর মনে হয় বেশির ভাগ মানুষই এ ব্যাপারে গাফেল বা অজ্ঞ।
একইভাবে আরেকটি আশ্চর্যের দিক হলো, আল্লাহ তায়ালা জিন বা অন্য সৃষ্টির মধ্যে কোনো পথপ্রদর্শক অথবা নবী বা রাসূল পাঠাননি, বরং আল্লাহ দয়াপরবশ হয়ে তাঁর বান্দাহর জন্য নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। আল্লাহ সূরা আলে ইমরানে ‘তামান্নাল্লাহু আ’লাল মুমিনিন বলেছেন। যার অর্থÑ আল্লাহ দয়া করে তাঁর বান্দাহর জন্য নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। কিন্তু কেন? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা সূরা তা-হার শুরুতেই বলেছেনÑ তা-হা, কুরআন এ জন্য নাজিল করিনি যে, আপনি হতভাগা জাতিতে পরিণত হবেন। বরং বলা হয়েছেÑ সমস্ত কিছুর ওপর আমার ব্যবস্থা শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করবে? আর আপনার উম্মতরা হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। কাজে-কর্মে-জ্ঞানে-গুণে-চিন্তা-ভাবনায়-কলাকৌশলে এক কথায় জীবনের সব দিকে মানবজাতিকে পথ দেখাবে। মানুষ এ ব্যবস্থা বা সিস্টেম গ্রহণ করে এক অনাবিল শান্তি পাবে ব্যক্তিগত, সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক জীবনসহ যাবতীয় কাজে।
এ রকম ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকলে আল্লাহ জমিনের ওপরে এবং জমিনের নিচে লুকানো সম্পদ তাঁর প্রিয় বান্দাহর জন্য উদগিরণ করে দেবেন। মানুষ তাঁর নিয়ামতে ধন্য হবেন।
অথচ এমন নিয়ামত বা কল্যাণ থেকে কেন বঞ্চিত হচ্ছে মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও! অনেককে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে সাফ জানিয়ে দেয়Ñ আমরা নামের মুসলমান, কামের নই। এটা যখন বুঝি তখন কামের মুসলমান কবে হবো? যত দিন আমরা দ্বীনের সঠিক চেতনায় ফিরে না আসব, তত দিন আর যা হোকÑ আমরা হতভাগ্য জাতি হিসেবেই রয়ে যাবো। আল্লাহ আমাদের দ্বীনের বুঝ দান করুন। আমীন।
লেখক : প্রবন্ধকার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা