ইসলাম প্রচারে লেখালেখি
- সাকী মাহবুব
- ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
বিশ্বমানবতার মহান শিক রাসূল সা: বলেছেন তোমাদের প্রত্যেকই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। তাই প্রত্যেক মানুষ নিজে ভালো পথে চলার পাশাপাশি অন্যকে ভালো পথের প্রতি সৎ কাজের প্রতি আদেশ করা এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা উম্মতে মুহাম্মদির প্রতিটি মানুষের অন্যতম দায়িত্ব। এ কারণে উম্মতে মুহাম্মদিরা অন্যসব নবীদের উম্মতের ওপর শ্রেষ্ঠত্বের অনন্য মর্যাদা লাভ করেছে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ রাব্বুুল আলামিন বলেন, ‘তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। মানুষের কল্যাণের জন্যই তোমাদের বের করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে। আর ঈমান রাখবে মহান আল্লাহর প্রতি।’ (সূরা আল ইমরান-১১০)
মানুষের কাছে ইসলামের এ দাওয়াতি কাজ পৌঁছে দেয়ার জন্য হেকমত অবলম্বন ও উত্তম ব্যবহারের পাশাপাশি মূলত দু’টি পদ্ধতি বেশি কার্যকর। তার মধ্যে একটি হলো বক্তৃতা, আর অন্যটি হলো লেখনী। মানুষের প্রতি আল্লাহ তায়ালার এক বিরাট অনুগ্রহ হলো, তিনি মানুষকে ‘বলে’ এবং ‘লিখে’ মনের ভাব প্রকাশ করার যোগ্যতা দিয়েছেন। তাই তো মহান আল্লাহ পাক বলেন, ‘আল্লামাহুল বায়ান’ অর্থাৎ তিনি মানুষকে বলতে শিখিয়েছেন এবং ‘আল্লামা বিল কালাম’ তিনি কলম দ্বারা শিা দিয়েছেন। বয়ান বা বক্তৃতার মাধ্যমটি হচ্ছে তাৎণিক ও ণস্থায়ী। আর লেখনীর মাধ্যমটি বিস্তৃত সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী। জ্ঞানার্জনেরর পাশাপাশি ইসলামের মহান বাণীর ব্যাপক প্রচার প্রসার ও দাওয়াত-তাবলীগের কাজে লেখনীর গুরুত্ব অপরিসীম।
যারাই আল্লাহর কুরআন বা কুরআনের কিছু হলেও শিখেছেন, বুঝেছেন, তাদের কর্তব্য হলোÑ নিজেরা তা মেনে চলবে এবং অন্যদের তা শেখানো, বুঝানো এবং মেনে চলার জন্য আহ্বান জানানো। মৌখিকভাবে এ দায়িত্ব পালন করা তো সবারই দায়িত্ব। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদের লেখার যোগ্যতা দান করেছেন, এ দায়িত্ব পালনে কলম ধরাও তাদের কর্তব্য। ইসলামের খেদমতে, দ্বীনের প্রচার-প্রসারে লেখনী একটি শক্তিশালী মাধ্যম। লেখনী মানুষের মনে নীরবে-নিভৃতে প্রভাব বিস্তার করে। লেখা মানুষের সাথে একান্তে কথা বলে এবং অন্তরে অভূতপূূর্ব বিপ্লব সৃষ্টি করে। এ কারণেই তো দেখা যায়, অনেক সময় অনেক কথা বলেও যাকে কাজে জুড়ে দেয়া যাচ্ছে না। কিন্তু সে সংক্রান্ত একটা লেখা তার হাতে আসার পর সে নিজ থেকে সে ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠছে এবং সে আমলে বা কাজে মনোনিবেশ করছে। এ রকম হাজারো দৃষ্টান্ত আছে। তাই ইসলাম প্রচার ও প্রসারে বক্তৃতার পাশাপাশি লেখনীর খেদমতে ব্যাপকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া সময়ের অন্যতম দাবি। সাহিত্যের চরম বিপ্লবের যুগে ইসলাম প্রচারে লেখনী এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
একজন ঈমানদার কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট কিংবা জাতির জাগ্রত বিবেক সাংবাদিকেরা লেখনীর মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করতে পারেন। ইসলামের পে কলম ধরা অর্থ সব জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনের বিপে সুদৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা। সব পেশাজীবী মানুষের কাছে ইসলামের অমীয় বাণী পৌঁছে দেয়ার সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম লেখালেখি। এর মাধ্যমে মনের আবেদন প্রকাশ করা যায়। প্রাচীনকাল থেকে ইসলাম প্রচারে লেখালেখির এ ধারাবাহিকতা চলে আসছে। অতএব আপনি কলম ধরুন। চিন্তা করুন, গবেষণা করুন, লিখুন। লেখালেখির মাধ্যমে ইসলামের বাণী প্রচার করে যান। লেখক হিসেবে কলমের সাহায্যে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করুন। একবিংশ শতাব্দীর প্রভাতলগ্নে ইসলামের বাণীকে সারা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে আমাদের কলম হোক আরো বেগবান আরো তেজস্বী।
লেখক : প্রাবন্ধিক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা