২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সালাত কল্যাণ বয়ে আনে

-


পরিবার আনন্দ-উল্লাস ও সুখ-দুঃখ ভাগাভাগির স্থান। পরিবার একজন ব্যক্তিকে তার নিজস্ব সমাজব্যবস্থার আচার-আচরণ ও মূল্যবোধের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমাদের ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে পরিবারের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এ জন্য পরিবারের শান্তি, সচ্ছলতা, রহমত, বরকত ও কল্যাণের বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনায় রাখতে হয়। নামাজ এমনই একটি আমল ও ইবাদত যার মাধ্যমে পরিবারে কল্যাণ ও বরকত আসে। যেসব পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত নামাজ আদায় করেন, আল্লাহর রহমত তাদের মুখোমুখি থাকে। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই ওই সব ঈমানদাররা সফলকাম হয়েছে, যারা তাদের নামাজে খুশু-খুজুর সাথে আদায় করে।’ (সূরা মুমিনুন:১-২)। যেসব গৃহে সালাত আদায় করা হয় না, ওই গৃহগুলোকে হাদিসের পরিভাষায় কবরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। হজরত ইবনে উমর রা: থেকে বর্ণিত, রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, তোমাদের ঘরেও সালাত আদায় করো এবং ঘরকে কবরে পরিণত করো না। (বোখারি : ৪২০)। হজরত জাবির রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে (ফরজ) নামাজ আদায় করে, তখন তার উচিত নিজের ঘরের জন্য (সুন্নত ও নফল) নামাজের কিছু অংশ নির্দিষ্ট করা। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তার নামাজের কারণে তার ঘরে বরকত দান করবেন। (মুসলিম পৃ.২৬৫ প্রথম খণ্ড)। হজরত আবু মুসা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, ‘যে ঘরে আল্লাহর আলোচনা হয়, আর যে ঘরে হয় না তাদের উপমা যথাক্রমে জীবিত ও মৃত সদৃশ।’ (মুসলিম পৃ.২৬৫ প্রথম খণ্ড)।
সমাজের বহু পরিবারে ঝগড়া, বিবাদ, মারামারি ও কলহ লেগেই আছে। পরিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনাও অহরহ ঘটে। পারিবারিক কলহ কিংবা যৌতুককে কেন্দ্র করে তালাক বা বিয়েবিচ্ছেদের ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এর ফলে পারিবারিক বন্ধন নষ্ট হচ্ছে। সমাজের মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে। মা-বাবার বিচ্ছেদের বিরূপ প্রভাব সন্তানের ওপর গিয়ে পড়ছে। যেসব সন্তানের মা-বাবার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে, সেসব সন্তানের বেড়ে ওঠা কিংবা সুনাগরিক হয়ে ওঠা অনেক দুরূহ ব্যাপার। পারিবারিক কলহ ঝগড়াঝাটি বা মারামারি করা মন্দ কাজ। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে সালাত অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সূরা আনকাবুত : ৪৫)। তাই পরিবারে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে উদাসীনতা পরিহার করা খুবই জরুরি।
বহু পরিবার অভাব অনটন ও ঋণের বোঝায় জর্জরিত। অনেকের ব্যবসায় বাণিজ্যে মন্দাভাব রয়েছে। নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির ওপর আল্লাহর রহমত নিকটবর্তী থাকে। তাই নামাজি ব্যক্তির ব্যবসায়িক মন্দাভাব সহজে দূর হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা নামাজি ব্যক্তিকে সব ধরনের আজাব-গজবের হাত থেকে রক্ষা করেন। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে, যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সূরা ফাতির : ২৯)।
লেখক : প্রবন্ধকার

 


আরো সংবাদ



premium cement
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের সমন্বিত ফলাফল প্রকাশ রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির কুলাউড়ায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দায় ন্যাশনাল হাসপাতালের ওপর চাপানো ভিত্তিহীন : কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল বন্ধ ঘোষণা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পিরোজপুরে একজনের যাবজ্জীবন নড়াইলে ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নোবিপ্রবিতে মানবিকতার আড়ালে হচ্ছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ পুনর্বাসন ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ‘ডি চক’ যাত্রা, উত্তাল পাকিস্তান জিম্বাবুয়েকে ১৪৫ রানে গুটিয়ে দিলো পাকিস্তান

সকল