গুগলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নয়া হাতিয়ার মাস্কের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩১
কৃত্রিম মেধার দুনিয়ায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ইলন মাস্ক স্থাপিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ‘ওপেনএআই’। কৃত্রিম মেধা দিয়ে তারা তৈরি করে ফেলেছে এক আশ্চর্য সফ্টওয়্যার, নাম চ্যাটজিপিটি।
চ্যাটজিপিটিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটও বলা যায়। কয়েক সেকেন্ডে হাজার হাজার শব্দ লিখে ফেলা কিংবা নিমেষে জটিল কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া- চ্যাটজিপিটির কাছে সবটাই যেন অতিসামান্য।
চ্যাটজিপিটি মূলত শিক্ষামূলক কথোপকথন ভিত্তিক প্রযুক্তি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর প্রকাশ ঘটে। আর তার পর থেকেই চমকের পালা। কৃত্রিম মেধাসম্পন্ন এই প্রযুক্তি চলে এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। তাকে ইচ্ছামতো কাজে লাগানো যাচ্ছে।
প্রকাশের প্রায় সাথে সাথেই চ্যাটজিপিটির জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। মাত্র ৫ দিনের মধ্যে এই প্রযুক্তির ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ১০ লাখে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে ১০ কোটির বেশি মানুষ চ্যাটজিপিটির আস্বাদ নিয়ে ফেলেছেন। ব্যবহারকারীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।
চ্যাটজিপিটির প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করে তুলতে ‘ওপেনএআই’-এর সাথে হাত মিলিয়েছে মাইক্রোসফ্ট। এই প্রযুক্তি আগামী দিনে গুগলকে টেক্কা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দাবি, গুগলে যে প্রশ্নের উত্তর জানতে চান মানুষ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটজিপিটি সে উত্তর দেয় আরো বেশি যত্ন নিয়ে।
চ্যাটজিপিটিকে যেকোনো ধরনের প্রশ্ন করা যাবে। সাথে সাথেই সে সব প্রশ্নের জবাব বলে দেবে কৃত্রিম মেধার এই সফ্টওয়ার। মৌলিক কবিতা, নাটক কিংবা পরীক্ষার খাতায় প্রয়োজনীয় আস্ত রচনাও লিখে দেবে চ্যাটজিপিটি। যে কারণে এটি পড়ুয়াদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
শুধু প্রশ্নোত্তর নয়, চ্যাটজিপিটিতে আক্ষরিক অর্থেই ‘চ্যাট’ করতে পারেন মানুষ। রোবটের সাথে দিব্যি গল্প জুড়ে দেয়া যায়। কৃত্রিম মেধার সাহায্যে স্বতন্ত্রভাবে প্রশ্নকারীর সাথে কথোপকথন গড়ে তোলে চ্যাটজিপিটি।
সূত্র : আনন্দবাজার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা