গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরাইল। দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রস্তাবনা অনুযায়ী ইসরাইলি বাহিনী গাজা সিটি থেকে উত্তরের দিকে সরে যাচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা গাজা সিটি থেকে বাহিনীকে পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করে নেবে।
এদিকে, গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্থানীয়দেরকে সতর্ক করেছেন, তারা যেন নিজ নিজ নিরাপত্তার প্রতি সতর্ক থাকে।
ওয়ালা নিউজ কয়েকটি সূত্রে জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী আজ সকালেও কয়েকটি স্থানে গুলি বর্ষণ করেছে। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে নাকি তারা এই হামলা করেছে।
আর্মি রেডিও জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী খুবই অল্প সময়ের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী হলুদ লাইন বরাবর সরে যাবে।
ইসরাইলি নিউজ চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর সপ্তম ব্রিগেডস ইতোমধ্যে গাজা উপত্যকা থেকে সরে এসেছে। এছাড়া ১৮৮তম ব্রিগেডস গাজা ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসরাইলি রেডিও আর্মি জানিয়েছে, উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুস থেকে ইতজিওনি রিজার্ভ ব্রিগেডকে প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে।
ওয়ালা নিউজ জানিয়েছে, গোলানি ব্রিগেড ও অন্যান্য ব্রিগেডের যুদ্ধ ইউনিটকে গাজা উপত্যকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি কয়েকটি সূত্রে জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী ইতোমধ্যে গাজা সিটি, বীচ ক্যাম্প ও মধ্য গাজা থেকে সরে যেতে শুরু করেছে। তাদেরকে এখন বিভিন্ন চেক পয়েন্টে মোতায়েন করা হবে। তারা অন্য সৈন্যদের এখন সুরক্ষা দেবে।
সূত্রটি এক সামরিক সূত্রে উল্লেখ করেছে যে প্রত্যাহার প্রক্রিয়াটি একটি জটিল ও সংবেদনশীল প্রক্রিয়া। সেনাবাহিনী কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চায় না।
এদিকে, গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব এলাকা থেকে ইসরাইলি বাহিনীকে প্রত্যাহার করা হবে, অল্প সময়ের মদ্যেই সেখানেই সৈন্য নিয়োগ দেয়া হবে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে।
তারা আরো জানিয়েছে যে দখলদার বাহিনী উত্তর ও দক্ষিণ গাজার মাঝে পথ অবরোধ করে রেখেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায় গাজাবাসীকে আহ্বান জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যেসব নির্দেশনা দেয়া হবে, তা যে যথাযথভাবে পালন করা হয়। একইসাথে যুদ্ধবিরতি পূর্ণরূপে কার্যকর হওয়ার আগে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা



