ইন্দোনেশিয়ায় ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প

ইউএসজিএস অনুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.১ এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল পাপুয়া প্রদেশে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নাবিরে শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। প্রদেশটি ইন্দোনেশিয়ার অংশ, যা বৃহৎ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপে পাপুয়া নিউ গিনির সাথে ভাগ করা।

ইউএসজিএস অনুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.১ এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে, এটি ছিল ৬.৫ মাত্রার এবং গভীরতা ২৪ কিলোমিটার। এর আগে সংস্থাটি ৬.৬ মাত্রার তথ্য দিয়েছিল।

সংস্থার ভূমিকম্প ও সুনামি প্রশমন প্রধান দারিয়োনো জানান, সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৫০টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ছিল ৫.১ মাত্রার।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে কিছু সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এক বিবৃতিতে তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে একটি বিমানবন্দরে কাঁচ ভেঙে পড়েছে, জেলা প্রশাসকের দফতরের ছাদ ধসে গেছে, একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে স্থানীয়রা ঘুম থেকে জেগে বাইরে বের হয়ে আসেন। ৩৭ বছর বয়সী সিসিলিয়া মাম্মান এএফপিকে বলেন, ‘ভূমিকম্পটি রাত ৩টার দিকে আঘাত হানে। তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। কিন্তু সবকিছু ঝড়ের বেগে কাঁপছিল, তখন পরিবারকে সাথে নিয়ে বাইরে বের হই।’

ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত হওয়ায় ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রায়ই সেখানে ভূমিকম্প হয়। এই অঞ্চলে টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ ঘটে, যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হয়ে পুরো প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে বিস্তৃত।

সূত্র : বাসস