ফিলিস্তিনিদের নিয়ে ট্রাম্পের দেয়া প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে স্থানান্তর এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকাকে দখল করার প্রস্তাব দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল (বুধবার) জাতিসঙ্ঘের একটি বৈঠকে গুতেরেস বলেন, ‘সমাধান খুঁজতে গিয়ে আমাদের সমস্যা আরো জটিল করা যাবে না। আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তির ওপর বিশ্বাস রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো ধরনের জাতিগত নিধনই এড়িয়ে যাওয়া জরুরি।’
জাতিসঙ্ঘেরর মহাসচিব আরো বলেন, ‘যেকোনো টেকসই শান্তির জন্য প্রয়োজন দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দিকে বাস্তব, অপরিবর্তনীয় ও স্থায়ী অগ্রগতি, দখলদারিত্বের অবসান এবং গাজাকে অবিচ্ছেদ্য অংশ করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।’
গুতেরেস তার ভাষণে ট্রাম্পের কথা সরাসরি উল্লেখ না করলেও তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, গুতেরেসের মন্তব্যকে প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা 'ন্যায্য অনুমান' হবে।
গতকাল গুতেরেস ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সাথেও কথা বলেছেন বলে জানান স্টিফেন ডুজারিক।
বাদশাহ আবদুল্লাহ আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাবেন। তখন তিনি আরব দেশগুলোর হয়ে একটি যৌথ বার্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পৌঁছাবেন বলে কমিটিকে বলেছেন জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) দূত রিয়াদ মনসুর।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন ছাড়া আমাদের কোনো দেশ নেই। গাজা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মূল্যবান অংশ। আমরা গাজা ছেড়ে যাচ্ছি না। পৃথিবীতে এমন কোনো শক্তি নেই, যে বা যারা গাজাসহ আমাদের পূর্বপুরুষের ভূমি থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে উচ্ছেদ করতে পারে।’
মনসুর আরো বলেন, ‘আমরা গাজাকে পুনর্নির্মাণ করতে চাই। আমরা এটিকে আবার সংগঠিত করতে চাই। এ প্রচেষ্টায় আমরা বিশ্বের সব দেশের কাছে আমাদের সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
২০০৫ সালে ইসরাইল গাজা থেকে সেনা এবং বসতি স্থাপনকারীদের সরিয়ে নেয়ার দুই বছর পর ভূখণ্ডটিতে সরকার গঠন করে হামাস। যদিও গাজায় প্রবেশ এবং বের হওয়ার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ইসরাইল ও মিশরের হাতে।
সূত্র : প্রেস টিভি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা